সিলেট | শনিবার,১৮ মে ২০১৯:
মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে অল্প অল্প করে নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা কালেকশন করে ১২শ রোজাদারকে ইফতার করিয়েনন তারা। তাদের এই মহৎ উদ্যোগে সবার কাছে প্রশংসা পাচ্ছেন এই শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার সিলেটের ৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: স্কলার্সহোম, সিলেট সরকারী কলেজ ও মিরাবাজার জামেয়া মাদরাসার কিছু শিক্ষার্থী এই মহান উদ্যোগ নিয়ে প্রায় ১২শ রোজাদারকে ইফতার করিয়েছেন। সিলেটের ২টি কেরাত প্রশিক্ষণ সেন্টার, আঞ্জুমানে তা’লিমুল কুরআন বাংলাদেশের প্রধান কেন্দ্র গোটাটিকরে প্রায় ৭শ শিক্ষার্থীকে, ঘাসিটুলা কুরআনিয়া মাদরাসায় ১শ শিক্ষার্থীকে এবং বিভিন্ন এতিমখানায় আরো ৪শ এতিমকে ইফতার করিয়েছেন তারা।
সাহসী উদ্যমী এই কিশোর-তরুণদের উচ্ছাস, উদ্দীপনা, মানুষের প্রতি প্রেম, দ্বীনের প্রতি আগ্রহ দেখে অনেক গুনিজনরাই তাদের প্রশংসা করেছেন। সিলেটের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি হবিগঞ্জের উপ পরিচালক শাহ নজরুল ও সিলেট ইমাম সমিতির সভাপতি হাবিব আহমদ শিহাবসহ অনেকেই তরুণদের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন।
কওমিপিডিয়ার পরিচালক ইকবাল হাসান জাহিদ বলেন, এই বয়সের ছেলেরা রমজান এলে ঈদের তেলেসমাতি শপিং, বাহারী কেনাকাটা এবং রমজান পরবর্তী ঈদ উপলক্ষে পর্যটন কিংবা ভ্রমণের চিন্তা করে টাকা জমানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এই আদর্শ তরুণরা যে দৃষ্টান্ত রেখেছে তা অবশ্যই অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করার কথা।
“হোপ এন্ড হেল্প” নামের ব্যানারে এই তরুণদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীরা হলেন, আহমেদ জারির, ফায়াজ আব্দুল্লাহ, রাফি উল আলম, আকসার হোসাইন, আবদুর রাহমান, ফারদিন, রাজু, আব্দুল বাসিত, আশিক আহমদ, মাসউদ আহমদ, শাহ নেওয়াজ, মুফি রাহমান, তায়েফ আহমদ, শান্ত, অয়ন প্রমুখ।