নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯:
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিত্সাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ক্রমে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে পারে। বর্তমানে সিএমএইচে তার ছোটভাই জিএম কাদেরসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।
সর্বশেষ রবিবার (৩০ জুন) রাত সোয়া ১১টার দিকে সিএমএইচে উপস্থিত এরশাদের ব্যক্তিগত একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জাপা চেয়ারম্যানের শারীরিক অবস্থা আগের মতোই। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। এরশাদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলেও জানান তিনি।
এর আগে সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ছোট ভাই জিএম কাদের বলেছেন, তার ফুসফুসে পানি চলে এসেছে, ইনফেকশন দেখা দেওয়ায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে। তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ মারা গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। একে গুজব বলে দাবি করেছে এরশাদের প্রেস উইং।
এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালি জানান, এরশাদের অবস্থা আগের মতোই আছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা তাদের ফেসবুকে জানিয়েছেন, বিভ্রান্ত হবেন না, এরশাদ জীবিত আছেন। সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলেন, অর্থের অভাবে এরশাদের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না। এইকথা কেন বলা হয়েছিল- সংবাদ সম্মেলনে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, সংসদে বলা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে মিডিয়াতে।
নিয়মিত চেকআপের জন্য এরশাদ গত ২৬ জুন সিএমএইচে গেলে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি এরশাদকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল। ৯১ বছর বয়সী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। এই কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি; এমনকি নিজে ভোট দিতেও নির্বাচনী এলাকায় যাননি।