নিউজ ডেস্ক | সোমবার,৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯:
পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ও যানবাহনের ব্যাপক চাপ থাকায় পাটুরিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে অসংখ্য যানবাহন। এছাড়া যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট গাড়ীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করায় সৃষ্টি হয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উথলী সংযোগ মোড় থেকে আরিচা ঘাটের সদর উদ্দিন কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি দেখা গেছে।
এদিকে পুলিশ যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট গাড়ীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে। এজন্য পাটুরিয়া ঘাট যানজট মুক্ত রাখতে ঘাট মুখী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে উথলী সংযোগ মোড় থেকে আরিচা মহাসড়কের উপর দাড় করিয়ে রাখছে। ফলে এ রোডেও যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। দফায় দফায় লাগছে যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ রোডে চলাচলকারী যাত্রীদেরকে।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি’র) সুত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে স্বাভাবিক ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি চলাচলে আগের থেকে দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যা কমে গিয়ে যানবাহন পারাপার কম হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র মেরিন অফিসার সায়েদুর রহমান জানান, একদিকে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে ফেরি গুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারছেনা। অপরদিকে কাঁঠালিয়া-শিমুলিয়া নৌরুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের যানবাহনগুলো এ রুট ব্যাবহার করায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে স্রোতও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পুরাতন ফেরি গুলোর ইঞ্জিন দুর্বল হওয়ায় ওই ফেরিগুলো স্রোতের বিপরীতে চলতে পারছেনা। ফলে এ নৌবহরে ফেরির সংখ্যাও কমে গেছে। এ নৌরুটে ছোড় বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে স্রোতের কারণে চলতে না পারায় ৩টি ফেরি ঘাটে নোঙ্গর করে রয়েছে। তবে নদীতে স্রোত কমে গেলে এবং সবগুলো ফেরি চলাচল করতে পারলে এসমস্য থাকবেনা বলে তিনি জানান।