নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯ :
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকার যে শারীরিক অবস্থা তাতে তার বেঁচে ফেরার আশা ছেড়েই দিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোন ক্যাটারিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শারীরিক অবস্থা পরিবর্তনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তারা খোকার সব চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, ‘কিছুক্ষণ সেখানে থাকার খোকার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে এখন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।’
পরিবারের বরাত দিয়ে শায়রুল আরও জানান, ‘খোকার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ অবস্থা থেকে তার ব্যাক করার সম্ভাবনা কম। এখন আল্লাহ ভরসা। আল্লার কাছে তার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’
এদিকে খোকার শেষ ইচ্ছা ছিল দেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার। কিন্তু খোকা ও তার স্ত্রী ইসমত হোসেন নতুন পাসপোর্টের জন্য ২০১৭ সালে বাংলাদেশ দূতাবাসে আবেদন করেও পার্সপোর্ট মেলেনি।
ঢাকার সফল এই মেয়রের পাশে আছেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আহমেদ হাসান মিন্টু। তিনি বলেন, ‘এখন খোকার যা অবস্থা এমন পরিস্থিতিতে যদি দুঃসংবাদও আসে তাহলে খোকাকে কীভাবে দেশে নেয়া হবে? তার স্ত্রীই বা কীভাবে ফিরবেন? অনিশ্চিত-অস্থির সময় পার করছেন পরিবারের সদস্যরা।’
২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। ২৯ নভেম্বর ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঢাকা মহানগরের মেয়র ছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। ২০১৪ সালে ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান অবিভক্ত ঢাকা মহানগরের দায়িত্ব পালন করা বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা।
২০১৪ সালের মে মাসে ক্যানসার চিকিৎসার উদ্দেশে স্ত্রী ইসমত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। স্লোন ক্যাটারিং হাসপাতালে চিকিৎসা শুরুর পর প্রতি সপ্তাহে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের থেরাপি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ছিলেন।