বছর বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক যেনো অবধারিত। অনেকেই এখন উপহাস করেন সম্মানজনক এই স্বীকৃতিটিকে নিয়ে। অবশ্য না করেও উপায় নে, যেভাবে প্রহসনমূলক ভাবে তারকাদের পুরস্কৃত করা হয় তাতে চলচ্চিত্র বোদ্ধারা বেশ বিব্রত।
এবার, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ফজলুর রহমান বাবু ও মোশাররফ করিমের নাম দেখে অনেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এবং এই দুই তারকা জানিয়েছেন যেই চরিত্রের জন্য তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে সেটা মোটেও কৌতুক চরিত্র ছিলো না। আর এমন অবিবেচক কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিক ভাবেই আঙুল উঠে নির্বাচক কমিটি বা পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্যদের দিকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমান তালে সমালোচনা হচ্ছে। তাদের সেই সমালোচনায় যে বিষয়টি পরিস্কার সেটি হলো, যোগ্য লোকদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়নি। আর এই কথায় সম্মতি জানালেন, জুরি বোর্ডে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য।
তিনি বলেন, যোগ্য লোক তখন পুরস্কার পাবে যখন দেশে পুরস্কার পাওয়ার মতো চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। যেসব ছবি জমা পড়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য নয়। তবু পুরস্কার দিতে বাধ্য হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে আমরা চেষ্টা করেছি বেছে বেছে ভালো সিনেমাকে পুরস্কৃত করতে। তুলনামূলকভাবে যোগ্যদের পুরস্কার দিয়েছি। এটা নিয়ে যে বিতর্ক হচ্ছে তার অমূলক। প্রতি বছর দেখি, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিয়ে সমালোচনা করেন অনেকে। কি বুঝে তারা সমালোচনা করেন বুঝি না।
এদিকে শিগগিরই তথ্য মন্ত্রণালয় দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের পুরস্কার একসঙ্গে বিজয়ীদের হাতে তুলে দেবে। নির্ধারিত তারিখে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।