বিরোধী দলগুলোর আপত্তি ও উত্তরপূর্বে মুসলিমদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (ক্যাব) পাস করেছে ভারত। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নাগরিকত্ব বিল-২০১৯ এর পক্ষে রায় দেয় ভারতের লোকসভা। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলটি উত্থাপন করার পর ২৯৩-৮২ ভোটে তা পাস হয়।
প্রায় ৭ ঘণ্টাব্যাপী তুমুল আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর সোমবার মধ্যরাতে পাস হওয়া এই বিল নিয়ে রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টুইটে মোদী লোকসভার সব সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেন- ‘মানুষকে আপন করে নেয়ার শতবর্ষ পুরো যে প্রথা আছে ভারতীয়দের, তা আরও একবার সামনে এলো।’
বিলে সমর্থন দেয়া সব দল, সংসদ সদস্য ও বিশেষত অমিত শাহকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান মোদী।
বিলটি চূড়ান্ত রূপ নেয়ার আগে রাজ্যসভায় পাস হতে হবে। নতুন এ বিল চূড়ান্তভাবে পাস হলে ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সকল অভিবাসীরা ভারতের স্থায়ী নাগরিক হওয়ার অনুমোদন পাবে বিলটি। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মুসলিমরা নাগরিক হওয়ার আবেদন করতে পারবে না।
ধারণা করা হচ্ছে, লোকসভায় যেহেতেু বিজেপির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, ফলে এই লোকসভায় (নিম্নকক্ষ) অনায়াসেই পাস হয়ে গেল। তবে রাজ্যসভায় (উচ্চকক্ষ) কিছুটা বাধার সম্মুখীন হতে পারে বিজেপি। কেননা, রাজ্যসভায় দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তবে সেখানেও বিরোধী কতিপয় দল বিলের বিরুদ্ধে ওয়াকআউট করে কার্যত বিলটি পাসে বিজেপিকে পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে পারে।