স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের নিরলসভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই সরকারি-বেসরকারি বিভন্ন হাসপাতালের অন্তত ১০১ জন নার্সের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ময়মনসিংহ ১৪ জন, বরিশালে ৪ জন, রংপুরে ১ জন, সিলেট ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এখন মোট ১২১ জন নার্স করোনা আক্রান্ত। আক্রান্তদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা ২ জন, আর সুস্থ হয়েছেন ৩ জন।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস সংগঠনের মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান এ তথ্য জানান।
সাব্বির মাহমুদ ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘২৭ টি সরকারি হাসপাতাল ও ১১ টি বেসরকারি প্রাইভেট হসপিটাল ক্লিনিকের সর্বশেষ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছ। যেখানে সরকারি-বেসরকারি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নানাভাবে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন এমন ৩০০ জনের বেশি নার্সকে বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে মানবসেবায় নিয়োজিত এসব নার্সরা এখন নিজেরাই করোনায় আক্রান্ত।’
এসব নার্সদের আক্রান্ত হওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শুরু থেকেই পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী দিতে পারছিল না। তাতেই নার্সরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাছাড়া এদের মধ্যে অনেকেই করোনা রোগীদের সেবা দিয়েছেন। আবার অনেকেই আক্রান্ত সহকর্মীর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা রোগীদের সেবা দেয়া হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের বাসস্থানেও আইসোলেশনের নিয়ম না মানায় দ্রুত সংক্রমন ঘটছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক রোগী তথ্য গোপন করে চিকিৎসা নেয়ার ফলে নার্সদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। হাসপাতালে রোগীর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে নার্সরা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নার্সিং গাইডলাইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে থাকেন নার্সরা। তাই নার্সদের ঝুঁকি বিবেচনা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে নার্সদের এই সংক্রমণ ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যাবে এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানও বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করেন তিনি।