নিউজ ডেস্ক,শুক্রবার,১১ মে ২০১৮:
সমঝোতার ভিত্তিতে ছাত্রলীগকে নেতা নির্বাচন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তাদেরকে ত্যাগের মানসিকতা প্রদর্শনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯ম সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, আমি চাই সমঝোতার মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। এজন্য ত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, কিছু দিলেই, কিছু অর্জন যায়।
নেতৃত্বের বয়সসীমা ২৮ করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন সেশনজট নেই। ২৩-২৪ বছরের মধ্যেই মাস্টার্স সম্পন্ন করা যায়। চাইলে এরপর ডাবল মাস্টার্সও করা যাবে।
জানা গেছে, প্রথমে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হবে। সমঝোতা না হলে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। একই সঙ্গে একই পদ্ধতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোন প্রকার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমাদের ছাত্রদের বলব- কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের ভাঙচুর করা চলবে না। ছাত্ররা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবে এটা আমি বরদাশত করব না।’
তিনি বলেন, কারণ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বায়ত্তশাসন থাকলেও সেগুলো চালাতে সকল খরচ সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি কেউ ভাঙচুর করে, সেখানে আমার কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ রয়েছে- সে দলের হোক, আর যেই হোক কাউকে ছাড়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এসময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইল উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য কাউন্টডাউন শুরু হয়। কিন্তু কারিগরি কারণে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, স্যাটেলাইট অবশ্যই মহাকাশে যাবে।
এর আগে বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে প্রথমে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।