নিউজ ডেস্ক,শুক্রবার,১১ মে ২০১৮:
দুই দিনব্যাপী ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে প্রথমে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন, এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দ্বি-বার্ষিক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি। ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন।
সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চলছে নানা সমীকরণ।
১০৯টি ইউনিট, সব ইউনিট মিছিলসহ এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছে। প্যান্ডেল ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ।
জানা গেছে, প্রথমে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করা হবে। সমঝোতা না হলে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। একই সঙ্গে একই পদ্ধতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, মহানগর উত্তর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দিনই ছাত্রলীগের এই তিন ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়নি।
গত ২-৫ মে পর্যন্ত শীর্ষ দুই পদে মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়। ৩২৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের জন্য ১২৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ২০০ জন ফরম তুলেছেন।
জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন জমা হওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আরিফুর রহমান লিমন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন।