নিউজ ডেস্ক,রবিবার, ১৩ মে ২০১৮:
সেনাবাহিনীকে জনগণের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যখনই প্রয়োজন হবে সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে। এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অতীতের মতো সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যতেও তারা মানুষের পাশে দাঁড়াবে।’
রবিবার (১৩ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন।
‘আমার ১০ বছরের ছোট ভাই, বড় হয়ে সে কী করতে চায়-এ প্রশ্নের জবাবে বলতো, সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই পরিবারের সদস্য হিসেবে সেনাবাহিনীর উন্নয়ন করা আমার কর্তব্য। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা আরও বেশি উন্নত হব, সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেনা সদস্যদের জন্য কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। রসদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতা বাড়িয়েছি। তাদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রথমবারের মতো আমরা সেনাবাহিনী প্যারা কমান্ডো ইউনিট চালু করেছি। ‘৯৬ সালে মেয়েদের সেনা ও বিমানবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করি। নারী পাইলট সংযোজন করে নতুন যুগের সূচনা করি। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র করে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সেনা সদস্যের জন্য দুই লাখ টাকার দুস্থ ভাতা ৬ লাখ টাকা করে দিয়েছি। এলপিআর-এর মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জেসিও পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণির করা হয়েছে। সার্জেন্টকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি।’