ইদ্রিস আলম,
এবার বিতর্কিত তিন ছাত্রনেতাকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আনতে মাঠে নেমেছে সিন্ডিকেট। ছাত্রলীগের ২৯ তম জাতীয় সম্মেলনে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার পর আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুরোনো সিন্ডিকেট। এবার বিতর্কিত ‘তিন নেতা’কে শীর্ষ নেতৃত্বে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এবার সিন্ডিকেটের শীর্ষ নেতৃত্ব এই কাজে মাঠে নামিয়েছে সদ্য সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনকে। এছাড়া লন্ডন থেকে ফিরে সাবেক এক সাধারণ সম্পা্দক ও শিবির হিসেবে পরিচিত মহানগর ছাত্রলীগ দক্ষিণের সদ্য সাবেক এক নেতাও সিন্ডিকেটের হয়ে মাঠে নেমেছেন। এবার তাদের অস্ত্র বিতর্কিত তিনজন। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর মগবাজার এর একটি আবাসিক হোটেলে নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে। মগবাজারের এই হোটেলে ওই তিন বিতর্কিত নেতার যাতায়াত দীর্ঘদিন ধরে। মগবাজার ওয়ারলেস গেটের ওই হোটেলের পার্শ্ববর্তী এক দোকানদার ওই তিন নেতাকে দীর্ঘদিন উক্ত হোটেলে নারীসহ তাদের নিয়মিত যাতায়াত খেয়াল করে। সেই দোকানদারই ওইদিনে আশেপাশের মানুষদেরকে জড়ো করে এবং উক্ত তিন বিতর্কিত নেতাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। সেই তিন নেতা- পরিকল্পনা ও কর্মসূচী বিষয়ক উপ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, উপ আইন সম্পাদক হুসেইন সাদ্দাম ও প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু। মাজহারুল ইসলাম শামীম: বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শামিম। পরে কেন্দ্রীয় নেতা হলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় রাজনীতি না করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। শামিমের পরিবারের একাধিক সদস্য বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। শামিম ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার ও বর্তমান সভাপতি সাইফুর রহমান সাহাগের একনিষ্ঠ অনুসারি হিসেবে পরিচিত। হুসেইন সাদ্দাম: নারী কেলেংকারী, মাদকাসক্ত ও মাদকব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তার পরিবারের অনেক সদস্য জামাত ও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মাদকের দুটি সিন্ডিকেট রয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। নারী সহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার কথাও নিশ্চত করেছে একাধিক সূত্র। পরবর্তীতে মুসলেকা দিয়ে রেহাই পায় সাদ্দাম। সাইফ বাবু: শিবির থেকে আসা সাইফবাবু ২০১৬ সালে সিন্ডিকেটের আর্শীবাদে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হয়ে যান! এর আগে ছাত্রলীগে তার কোন পদ ছিলোনা, অথচ সরাসরি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে নীলক্ষেত এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির। একটি সূত্র থেকে জানা যায় শিবিরের সাথে তার এখনও ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে,নেতৃত্ব আসার দৌড়ে শিবির বড় অংকের টাকা অর্থায়ন করেছে সাইফ বাবুর জন্য, পরবর্তীতে যেন শিবির ছাত্রলীগ কে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। তূনমূলের নেতা-কর্মীরা চায় ছাত্রলীগে স্বচ্ছ ইমজের প্রকৃত কর্মীরা নেতৃত্বে আসুক। তারা মনে করে, চেতনায় শেখ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে ধারণ করে তারা নেতৃত্ব পেলে ছাত্রলীগ ছাত্র আন্দোলনের সঠিক পথে এগোবে।