নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,বৃহস্পতিবার,৩১ মে ২০১৮ : নকশা অনুযায়ী নদী খনন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম অনেতিকতা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি।
বৃহস্পতিবার (৩১ মে) সকালে খুলনার ডুমুরিয়ার ভদ্রা ও সালতা নদী খনন কাজের অনিয়ম পরিদর্শনকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ডুমুরিয়ার মানুষের জলাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে দীর্ঘ কয়েকবছর চেষ্টার পর ভদ্রা ও সালতা নদী খনন করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিলডাকাতিয়ার দুর্ভোগ দূর করতে হামকুড়া নদীও খনন করা হবে। সরকার ভারাট হওয়া, নদী, খাল, জলাশয় খনন করে সেগুলো সচল করছে। অথচ একশ্রেণীর দখলবাজ চক্র সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। এ সকল অনিয়ম অনৈতিকতাকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না ‘
এ সময়ে নকশা অনুসরন না করে খনন কাজ করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ধমক দেন। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘ঘুষ খেয়েই কি যেনতেন ভাবে খনন কাজ করছেন। সঠিকভাবে কাজ না করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দখলবাজদের পক্ষে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বুলু কথা বলতে আসলে তিনি তাকে বলেন, ‘দখলবাজদের পক্ষে কোন কথাই শুনব না। সঠিকভাবে নদী খনন হতে হবে।’
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহনাজ বেগম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পও র-১ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুল ইসলাম, ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিল হোসেন, ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবীর বুলু, শোভনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য প্রমূখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ভদ্রা ও সালতা নদীটি পলিপড়ে ভরাট হয়ে যায়। নদী দুটি খননের জন্য স্থানীয় অধিবাসীরা বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তোলে। স্থানীয় সংসদ সদস্য কয়েক দফা বিষয়টি নিয়ে সংসদে বক্তব্যও তুলে ধরেন। কথা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে। শেষমেষে তিনি মৎস্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকালে তারই চেষ্টায় ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে নদী দুটি খননের জন্য প্রকল্প জমা দেয়া হয়। প্রকল্পটি সম্ভাব্যতা যাচাই করে এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরকার ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একনেকের বৈঠকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৭৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে খনন কাজ শুরু হয়েছে। শেষ করার কথা রয়েছে ২০১৮-২০১৯ মোট ৩ অর্থবছরে। ইতোমধ্যে খনন কাজ প্রায় ৭৫ ভাগ শেষ হয়েছে।