নিউজ ডেস্ক,শনিবার,১৬ জুন ২০১৮: সিলেটের মৌলভীবাজার আক্রান্ত হয়েছে ভয়াবহ বন্যায়। মনু নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো মুহূর্তে প্রতিরক্ষা বাঁধ (গাইড ওয়াল) উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে।
প্রবল বৃষ্টিতে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরাম প্লাবিত হয়েছে। বেশির ভাগ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চার লাখেরও বেশি মানুষ বন্যায় ঘরছাড়া। আবহাওয়া দফতর থেকে আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
শনিবার (১৬ জুন) ত্রিপুরার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয় বলে জানা গিয়েছে। রাজধানী আগরতলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ‘রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ, গত ৩১ বছরে এত খারাপ অবস্থা হয়নি।’
উত্তর ত্রিপুরা এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় মনু, কুশিয়ারা ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মনু ও ধলাই নদীর এ পর্যন্ত ২২টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বাড়িঘরসহ রাস্তাঘাট। পানিবন্দী রয়েছে জেলায় প্রায় ৫শ’ গ্রামের ৩ লাখ মানুষ।
বন্যায় তলিয়ে যাওয়া এলাকায় আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে কুলাউড়া, কমলগঞ্জ ও রাজনগরে সেনাবাহিনী কাজ করছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এম সাইফুর রহমান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে হয়েছে।
জেলার তিনটি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিরামহীন কাজ করছে। শুক্রবার (১৫ জুন) মনু নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনীর একটি টিম। শনিবার (১৫ জুন) দুপুরের প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী কাজ শুরু করবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে মনু নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধ উপচেপ পানি প্রবেশ করে শহর তলিয়ে যেতে পারে।