নিজস্ব প্রতিবেদক,বুধবার,২০ জুন ২০১৮: নরসিংদীর রায়পুরায় ফুটবল খেলতে যাওয়ার সময় খেলোয়াড়বাহী ট্রলি উল্টে দুই জন এবং ট্রেনে কাটা পড়ে আরও দুই জুন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২০ জুন) সকালে নরসিংদী-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কের খাকচর নামক স্থানে ও রায়পুরা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এ পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রলি উল্টে নিহতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের টুকিপুরা গ্রামের মৃত সুলতান ভূইয়ার ছেলে মো. মামুন ভুইয়া (১৮) ও একই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে রবিউল মিয়া (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শী আজহারুল ইসলাম ও মানিক মিয়া জানান, সকালে একটি ট্রলি নিয়ে টুকিপাড়া এলাকা থেকে প্রায় ৩০ জন যুবক রায়পুরা ডিগ্রি কলেজে ফুটবল খেলার জন্য যাচ্ছিল ট্রলির চালক বাবু মিয়া। ট্রলিটি বেপোরোয়া গতিতে চালানোর কারনে খাকচর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মো. মামুন ভূইয়া মারা যায় এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে রবিউল মিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরো প্রায় ১০ যুবক। আহতদের মধ্যে সজিব মিয়া ও অজ্ঞাত আরেকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুরা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) উপ-পরিদর্শক রাফিউল করিম জানান, ‘দুর্ঘটনায় একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আরেকজন হাসপাতালে নেয়ার পথে নিহত হয়েছেন। আর এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১০ জন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্ককাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে নরসিংদীর রেলওয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে রায়পুরার মেথিকান্দা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে খবর দিলে রেল পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে রাতের যে কোনো সময় ট্রেনে কাটা পরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আমিরগঞ্জ বাজারের পাশে রেললাইন পার হওয়ার সময় এমদাদুল হক নামে (৪৫) এক ব্যক্তি ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু সায়েম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে পারাবত ট্রেনের নিচে পরে ওই ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বেলা প্রায় সারে ১০ টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত এমদাদুল হকের বাড়ি নরসিংদী সদর উপজেলার বাদুয়ারচর গ্রামে। তার বাবার নাম মাজেজুল হক। নিহত হওয়ার ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই নিয়ে এক সপ্তাহে নরসিংদীতে ৫টি টেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।