রাসেল খান,
রাজধানীর তুরাগে মাদকাসক্ত বাবার ধর্ষণের শিকার হয়ে ১২ বছরের এক শিশু কন্যা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তুরাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ঐ রাতে অভিযুক্ত পিতা বিল্লাল হোসেন(৩২)কে গ্রেফতার করে শুক্রবার সকালে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেন তুরাগ থানা পুলিশ। আটককৃত বিল্লাল হোসেনের (৩২)মুক্তাগাছা জেলার শিমলা গ্রামে। তিনি পেশায় তিনি ভ্যানচালক।
ভুক্তভোগী মেয়েটির মা জানান, গত ১৩ বছরের সংসারে ২টি সন্তান তাদের। তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকার নরেন নামক একটি কোম্পানীর শ্রমিক করেন তিনি। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত পর্যন্ত ঐ কোম্পানীতে কাজ করতে হয় তাকে। তার মেয়ে শিশুটি বাসায় থাকতো। হঠাৎ করে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন দেখে বিষয়টি টের পান তিনি। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। পরে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন গত ৩ মাস ধরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল তার বাবা বিল্লাল হোসেন।
নির্যাতিতা শিশুটির দাদা জাবেদ আলী জানান, ছেলের এমন অপকর্মে নিজ ছেলেকেই আমি পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন। এমন অপকর্মের কঠোর শাস্তি চান আমি।
স্থানীয়রা জানান, এমন নেককার ঘটনা তুরাগে এই প্রথম। পাশাপাশি ঝঘন্য এই অপরাধের কঠোর শাস্তির দাবি করেন তারা।
স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবুল কালাম রিপন বলেন, মেয়েদের পরম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলেন বাবা। আর সেই বাবার কাছে আজ সন্তান অনিরাপদ। এমন একটি নোংরা ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে এক বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। সন্তানদের মনেও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তৈরি হয়েছে অজানা আতংক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তুরাগ থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন দুলাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত পাষন্ড পিতাকে আটক কওে রিমান্ড দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্যাতিতা মেয়েটিকে চিকিৎসা প্রধান কনা হচ্ছে।