1. shahinit.mail@gmail.com : dhaka24 : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
  2. arifturag@gmail.com : ঢাকা টোয়েন্টিফোর : ঢাকা টোয়েন্টিফোর
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন

মেয়ের টুকরো করা মরদেহটুকুই চায় পরিবার

Dhaka24 | ঢাকা টোয়েন্টিফোর -
  • প্রকাশ | রবিবার, ১৫ জুলাই, ২০১৮
  • ১৪৬ পাঠক

নিউজ ডেস্ক,সোমবার ১৫ জুলাই ২০১৮:‘তোমরা আমার জ্যান্ত মেয়েকে এনে দাও। যদি না পারো, তবে মরদেহ এনে দাও। আমার মা’র টুকরো মরদেহ বুকে নিয়ে আমি ঘুমাবো।’

মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরে বাংলাদেশি সাজেদা-ই-বুলবুল (২৯) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে। এখন মেয়ের মরদেহ পেতে এমন আহাজারি করছেন পটুয়াখালীর সদর পুরাতন আদালত পাড়ার নিহত বুলবুলের বাবা মো. আনিস হাওলাদার (ফিটার)।

বাবার এমন আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। পাগলের মতো পথেঘাটে যখন যাকে পাচ্ছেন সবার কাছে একই আকুতি জানিয়ে চলছেন তিনি। কয়েক বার মূর্ছা গেছেন। সবশেষ মেয়ের মরদেহ না পেয়ে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন বাবা মো. আনিস হাওলাদার (ফিটার)।

গত ৫ জুলাই মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঘটনার ৮ দিন পরও বুলবুলের মরদেহ দেশে আসেনি। আর সেই সময় থেকেই বুলবুলের বাবার এই আকুতি। তার কান্নায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনেকেই।

জানা গেছে, নিহত বুলবুল বেসরকারি প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম পাস করেন। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ সুবিধাখালীর ঘটকের আন্দুয়া এলাকার সোহরাফ ফকিরের ছেলে শাহজাদা সাজুর সঙ্গে বিয়ে হয় বুলবুলের। তাদের সংসারে মুগ্ধ (৭) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর বাংলাদেশে থাকাকালীন বুলবুলকে নির্যাতন করায় ঢাকায় একটি এজহারও দায়ের হয়। এরপর তাকে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় নিয়ে যায় ঘাতক শাহজাদা।

নিহত বুলবুলের বোন খাদিজা পারভিন উপমা জানান, উচ্চতর পড়াশোনা করার প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর শাহজাদা মালেয়েশিয়ায় নিয়ে যান বুলবুলকে। কিন্তু সেখানে নিজে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্ত্রীকে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ করে দেননি। সেখানে নিয়মিত নির্যাতন করা হতো তার বোনের ওপর। তাকে দুই তিন দিন পরপর খাবার দেয়া হতো। এসব ঘটনা বুলবুল তার বাবা-মাকে মাঝে মাঝে জানাতো। এক পর্যায়ে বুলবুলের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে শাহজাদা। বাংলাদেশ থেকে নির্যাতনের জন্য শাহজাদাকে উসকে দিতেন তার মা, বোন, মামাসহ অন্যান্যরা।

উপমা ফারহানা আরও জানান, শাহজাদার নির্যাতন সইতে না পেরে এক আত্মীয়ের বাসায় পালিয়ে যান বুলবুল। সেখানে ২-৩ দিন থাকার পর শাহজাদা তার কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় তাকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনেন। এর পরপরই নৃশংস খুনের শিকার হন বুলবুল। ঘাতক শাহজাদা খুনের পর বুলবুলের মরদেহ একটা লাগেজে ভরে জঙ্গলে ফেলে দেন। সেখান থেকে মালয়েশিয়া পুলিশ লাগেজ ভর্তি মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত বুলবুলের ভাই ফারুক বোনের জন্য আহাজারি করতে থাকেন। বোনের মরদেহ ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। শোক যেন তাকে নির্বাক করে দিয়েছে।

মা মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ছয় ছেলে মেয়ের মধ্যে বুলবুল সবার ছোট। উচ্চতর পড়াশোনা করার প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে বিদেশে নিয়ে গেছে জামাই। আজ আমার মেয়ে মারা গেছে কিন্তু ওর মরদেহটা পর্যন্ত দেখতে পাইনি।

এ বিষয়ে ঘাতক শাহজাদার বড় ভাই শহিদ ফকির বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর দশ বছর যাবৎ শাহজাদার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমরা সবাই আলাদা। এ বিষয়ে আমি কিছু যানি না।’

লাইক কমেন্ড ও শেয়ার করে সাথে থাকুন-

আরো খবর

© All rights reserved | 2016 dhaka24.net by |

Theme Customized BY WooHostBD