নিজস্ব প্রতিবেদক,রোববার,২৯ জুলাই ২০১৮: নরসিংদীর মাধবদীতে কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নারী শ্রমিক। প্রভাবশালী মহলের চাপে জিম্মি থাকা ধর্ষিতার পরিবার ঘটনার ২০ দিন পর গত ২৮ জুলাই থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ধর্ষিতার মামী কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হাসনারা বেগম বাদী হয়ে মোট ১২ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুলাই গভীর রাতে মাধবদীর কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী গ্রামে মামার বাড়িতে আশ্রিত ওই নারী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হন। এ সময় তার বাড়ির পাশের কাউসার মিয়ার টেক্সটাইল মিলের ১০/১২ জনের একদল লম্পট শ্রমিক তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী বিলের মাঝে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই নারীকে তারা রাতভর ধর্ষণ করে। এতে সে অচেতন হয়ে পড়লে শেষ রাতে তাকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরদিন ভোরে ধর্ষিতার আত্মীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সে সুস্থ হওয়ার পর তার আত্মীয়দের ঘটনাটি খুলে বলে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল তা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগে। তারা ভুক্তভোগীর পরিবারকে থানায় মামলা না করার জন্য উল্টো শাসিয়ে জিম্মি করে রাখে।
এলাকাবাসী জানায়, ঘটনাটির পরপর খবর পেয়ে মাধবদী থানার এসআই হারুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পরও তিনি অজানা কারণে নীরব থাকেন। এদিকে নানা হুমকি উপেক্ষা করে প্রায় দুই সপ্তাহ পর ধর্ষিতার মামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে আসলে পুলিশ মামলা নেয়নি। সেদিনও ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল বাদীর কাছ থেকে জোর করে আপসনামায় স্বাক্ষর রাখার চেষ্টা করেন বলেও তিনি জানান।
এ ব্যপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মাধবদী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বাদী পক্ষ ২০ দিন পর থানায় মামলা করে।