মাসুদ রানা,
বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো আজও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে উত্তরা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাতীরা মহাসড়ক আটকে প্রথমে বিক্ষোভ করে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে অবরুদ্ধ করে রাখা এনা পরিবহন ও ধলেশ্বরী পরিবহনের দুইটি বাসে ভাংচুর করে পরে আগুন দরিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এতে টাঙ্গাইল গামী ধলেশ্বরী পরিবহনের একটি বাস ও এনা পরিবহনের একটি বাস পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সাড়ে বিকেল ৪ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা দিকে উত্তরার হাউজবিল্ডিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের পুরো রাস্তা জুড়ে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যস্ততম এই ঢাকা- মায়মনসিংহ মহা সড়কে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে মিরপুর ও ফার্মগেটে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই ঢাকার প্রধান সড়ক গুলো তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পুরো এলাকা স্থবির হয়ে গেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরো এলাকাজুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা সড়ে না যাওয়ায় পুলিশ তাদের দাওয়া দিলে। রাস্তায় থাকা কয়েক গাড়িতে ভাংচুর চালায় এবং টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী পরিবহন ও এনা পরিবহন সহ দুইটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্য তারা রাজপথ ছাড়বে না।
সড়কে অবস্থান করে তারা নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের পদত্যাগ, নিরাপদ সড়ক ও ঘাতক জাবালে নূরের চালকদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসি দাবি করছে।