রাসেল খান,
নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর উত্তরা হাউস বিল্ডিং গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলার চালায়।
রোববার দুপুর ১টার দিকে বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে মটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরার পথে শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করলে ছাত্রলীগের নেতারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে। কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীদের ধরে বেধড়ক পিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। এতে আহত হন ছাত্রলীগের তুরাগ থানার সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। গুরুত্বর আহত হয় তুরাগ থানা ছাত্রলীগের তুরাগের সদস্য দীন ইসলাম (২৯), হাফিজ খান,(২৮).মো. লেয়াকত (২৭) ও মামুন (২৫)। আহতদের উত্তরার দুইটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দীন ইসলামকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তার মাথায় ১৭টি শিলাই এবং হাফিজকে ৩৫টি শিলাই দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, আহতরা সকলেই তুরাগ এলাকার বাসিন্ধা ও তুরাগ থানা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানান তুরাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি সফিক।
সরেজমিনে ঘুড়ে দেখা যায় উত্তরা হাউস বিল্ডিং গোলচত্বরে সকাল থেকে আইইউবিএটি, উত্তরা হাইস্কুল, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করেন।
এ সময় পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হাতে লাঠিসোটা ও রড নিয়ে বিক্ষোভ করেন হাউস বিল্ডিং, জসীমউদ্দীন হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত।
পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে আজকের মতো কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।