নিউজ ডেস্ক,রবিবার, ৫ আগস্ট ২০১৮: আমাদের দেশে একটা শ্রেণি অাছে যারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই শ্রেণির লোকজন আজ ছাত্রদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। এরা নানা গুজব ছড়াচ্ছে। এরা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। সে কারণে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে বলছি।

তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ঢাকার বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে এ আন্দোলনে যোগ দেয়ার কথা শুনেছেন। তারা বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক একটা পরিকল্পনা করছে। এমতাবস্থায় আপনাদের সন্তানদের ঘরে ফিরে নিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে বলেন। তাদের স্কুলে পাঠান পড়াশোনা করতে।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১০ জেলার ৩০০টি ইউনিয়নের অপটিক্যাল ফাইবার কানেটিভিটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ অাহমেদ পলক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই শিশুদের ট্রাফিক আইনের ওপর শিক্ষা দিন। কেমন করে রাস্তা পার হতে হবে, জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করতে হবে, তা শিখিয়ে দিন। এখন থেকে শহরের প্রতিটি স্কুলের সামনে ট্রাফিক থকবে। গাড়ির গতিনিরোধক সিস্টেম থাকবে। তারা ছেলেমেয়েদের রাস্তা পার করে দেবে। ছাত্রছাত্রীরা যেন ওভারব্রিজ ব্যবহার করে সে বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমেছে, গাড়ির কাগজপত্র চেক করছে। মন্ত্রী-এমপিদের গাড়ি থামিয়ে তাদের হেঁটে চলে যেতে বলেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। পুলিশের মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছি। শিক্ষার্থীদের ওপর যেন কোনো আঘাত করা না হয় সে নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু আন্দোলনে তৃতীয় শক্তি যোগ হওয়ায় আমাদের শঙ্কা বেড়ে গেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, আজ থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। আপনারা ট্রাফিককে সহযোগিতা করবেন। ট্রাফিক আইন তৈরি হচ্ছে। এটা এখন ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। এটা ক্যাবিনেটে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সংসদে আসবে এবং পাস হবে।

তিনি আরও বলেন, কিছু পত্রিকা আছে, যাদের সুস্থ রাজনীতি পছন্দ না। অসুস্থ রাজনীতি সহিংস পরিস্থিতি তাদের পছন্দ। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টির অধিকার কি তাদের আছে? বেসরকারি সব চ্যানেল আমি দিয়েছি। শতশত পত্রিকার অনুমোদন দিয়েছি। সেসব চ্যানেল এবং পত্রিকা তাদের ইচ্ছেমতো সরকার নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করছে। আমরা তো কোনোদিন তাদের বাধা দেইনি।

তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা এখন ঘরে ফিরে যাও। লেখাপড়ায় মনোযোগ দাও। ভবিষ্যতে তোমরাই এ দেশ পরিচালনা করবে। সে হিসাবে লেখাপড়া করো প্রস্তুতি নাও। লেখাপড়া ছাড়া ভালো কিছু করার সুযোগ নেই। আমরা ২১ বছরের জঞ্জাল সরিয়ে দেশ পরিচালনা করছি। তোমরা যখন দেশ পরিচালনা করবে তখন এ জঞ্জাল তোমাদের সরাতে হবে না। তোমরা খুব সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে।

তিনি বলেন, ড্রাইভার-হেলপারদের ট্রেনিং করানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। কিছুদিন আগেও বলেছি একজন ড্রাইভার একটানা পাঁচ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে পারবে না। এ জন্য হাইওয়ের পাশে ড্রাইভারদের বিশ্রামের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় দুটি প্রাণ চলে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। এ দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িতাদের শান্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।