স্পোর্টস ডেস্ক, সোমবার, ৬ আগস্ট ২০১৮: বৃষ্টি আইনে উইন্ডিজকে ১৯ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ। সোমবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা থেকে ম্যাচটি শুরু হয়।
বাংলাদেশের দেয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভার ১ বলে ৭ উইকেটে ১৩৫ রান তোলার পর হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
খেলা যখন বন্ধ হয় তখন জয়ের জন্য ক্যারিবীয়দের দরকার ছিল ১৭ বলে ৫০ রান। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে খেলা আর মাঠে গড়াতে পারেনি। তবে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশই এগিয়ে ছিল। যে কারণে ডার্কওয়ার্থ-লুইস মেথডে বাংলাদেশকে ১৯ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
এ ম্যাচে ৩টি উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া সৌম্য সরকার, আবু হায়দার রনি ও সাকিব আল হাসান পেয়েছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান করে টাইগাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন লিটন দাস। তার এই ইনিংসে ৩টি ছক্কা ও ৬টি চারের মারা রয়েছে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২০ বলে ১ ছক্কা ও ৪টি চারে এ রান করেন তিনি।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তাদের জুটি থেকে ৬১ রান আসে। এরপর ব্যক্তিগত ২১ রানে সাজঘরে ফিরে যান তামিম।
ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার তবে তিনি বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫ রানে আউট হন তিনি। তখন দলীয় রান ছিলো ৬৬।এরপর দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন মুশফিক। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি দলীয় ৯৭ ও ব্যক্তিগত ১২ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
এরপর ব্যক্তিগত ৬১ রানে আউট হন লিটন দাস।দলের যখন ১০২ রানে ৪ উইকেট তখন রিয়াদকে সঙ্গী হতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে তার ইনিংসটি বেশি দূর এগোয়নি।
দলীয় ১৪৬ ও ব্যক্তিগত ২৪ রানে আউট হন তিনি। সাকিব আউটের পর আরিফুল হককে সাথে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখতে ব্যাট করে যান রিয়াদ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আরিফুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল ইসলাম অপু, আবু হায়দার, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: আন্দ্রে ফ্লেচার, চ্যাডউইক ওয়ালটন, আন্দ্রে রাসেল, মারলন স্যামুয়েলস, দীনেশ রামদিন, রোভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্রাথওয়েট, অ্যাশল নার্স, কিমো পল, কেসরিক উইলিয়ামস, স্যামুয়েল বদ্রি।