নিউজ ডেস্ক,বুধবার,২২ আগস্ট ২০১৮:
দেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শোলাকিয়ায় সকাল থেকে দলে দলে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। এবার অনুষ্ঠিত হলো ঈদুল আজহার ১৯১তম জামাত।
সকাল নয়টায় জামাত শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিদের এই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মুফতি হিফজুর রহমান খান। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় নির্বিঘ্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
মাঠের ভেতর ও বাইরে ছিল অনেক সিসি ক্যামেরা। পুরো মাঠ নজরদারির জন্য ছিল দুটি ড্রোন। এমনকি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে আগত ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। পুলিশ বাহিনীকে সহায়তায় ছিল বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক দল।
নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে ছাতা বা কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ঈদগাহ মাঠে। শুধু পাতলা জায়নামাজ নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। মুসল্লিদের যাতায়াতে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খান ১৮২৮ সালে জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় ৭ একর জমির ওপর এ ঈদগাহ মাঠের গোড়াপত্তন করেন। ওই বছর ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই ঈদের জামাতে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল এক লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমানে ‘শোলাকিয়া’ নামকরণ হয়েছে।