মেডিকেল করেসপন্ডেন্ট,সোমবার,২৭ আগস্ট ২০১৮:
চাকরির খোঁজে ঢাকায় এসে সৎ বোনের সহযোগিতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক যুবতী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে জরুরি বিভাগের সামনে মেয়েটিকে (২৫) চাদর মোড়ানো বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার দু’পা বেয়ে রক্ত ধরছিল। হাতে-পায়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা গিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের (এএসআই) বাবুল মিয়া জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটির চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয় এবং মেয়েটির সাথে কথা বলে জানা যায়, তার বাড়ি চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ এলাকার একটি গ্রামে বাসিন্দা। লঞ্চ যোগে সদরঘাট আসে। তবে কবে ঢাকায় আসে তা জানাতে পারেনি। ওখান থেকে বোনের বাসা গুলিস্তানে যায়। তারপরে চারজন ব্যক্তি তাকে গণধর্ষণ করে বলে সেই জানায়। তবে মেয়েটিকে দেখে মনে হয় মানসিক কোনও সমস্যা আছে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এর সমন্বয়কারী ডাক্তার বিলকিস বেগম জানান, ওই যুবতীর গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে তার যৌনাঙ্গের ভিতরে অংশ ফেটে গিয়েছে। পরে তাকে দ্রুত ২১২ গাইনি ওয়ার্ডে রেফার করা হয়েছে অস্ত্রোপচারের জন্য। প্রাথমিকভাবে তার গণধর্ষণের শিকার হওয়ার প্রমাণ মেলেছে।
তিনি জানান, মেয়েটির সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, গুলিস্তান এলাকায় সে তার সৎ বোনের বাসায় আসে। গত রাতে সৎ বোনের বাসায় সে গণধর্ষণের শিকার হয়। পরে ধর্ষকদের একজন তাকে উলঙ্গ অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে যায়। মেয়েটি চাকরির জন্য সৎ বোনের বাসায় আসে এবং সৎ বোন খারাপ ছিল তা তার জানা ছিল না। ওই বোনের সহযোগিতায় ধর্ষিত হয়েছে বলে সে জানিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ধর্ষিতা এক ছেলে সন্তানের জননী। তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে অনেক আগেই। তবে মেয়েটির সাথে কথা বলে মনে হয়নি সে মানসিক রোগী।