স্বপন রানা,উত্তরা প্রতিনিধি,
রাজধানীর উত্তরায় এক কাজের মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ২০১৩ সালের শিশু আইন এর ৭০ ধারায় মামলা করা হয়েছে (মামলা নং ২০ তারিখ ০৯/০৯/১৮)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত কাজের মেয়ের নাম জাকিয়া(১০)। তার মা সুফিয়া আক্তার স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পরে ১০ বছরের মেয়ে কে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুরে বসবাস করছিল। ভরণপোষণের সমস্যা হওয়ায় গতবছর জুলাই মাসে জনৈক শাহনাজ নামে পরিচিত জনের মাধ্যমে নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনাএবং আল মামুন মিল্টনের পরিবারে কাজ করতে দেয়।
বাদী জানান, গত ৫সেপ্টেম্বর তার মেয়ের অসুস্থতার সংবাদ পায় এবং তার ভাইসহ ঢাকায় এসে ওই বাড়ি থেকে তার মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তার শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে গত ৮সেপ্টেম্বর জাকিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার নিকট জানতে পারে, যে নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনা তার স্বামী এবং মা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের অজুহাতে মেয়েটিকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুন্তির ছ্যাকা দেয় এবং রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে দুই হাতে পিটিয়ে জখম করে। তাদের অত্যাচারে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তারা বিভিন্ন সময়ে টুকরে টুকরে তার শরীরে জখম করে শুধু তাই নয় তারা তাদের অত্যাচারে কাজের মেয়েটির ডান হাতের আঙ্গুল ভেঙে যায়।এতে সে দু’হাত সঠিকভাবে নাড়াচাড়া করতে পারে না। তাকে বিভিন্ন সময় খাবার না দিয়ে মারধর এবং নির্যাতন করা হতো। সবসময় বন্দি রেখে অমানবিক নির্যাতন করতো এতে মেয়েটি মানসিকভাবে ও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ডিউটি অফিসার আনোয়ারা বেগম জানান কাজের মেয়ে নির্যাতনের ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় ৩জন কে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং তার প্রেক্ষিতে নাজমা ইয়াসমিন ওরফে মনা (৩২) এবং আল মামুন মিল্টন (৪০)নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।