স্বপন রানা,
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা সবুজ পাঠান নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয় পরিবারের দাবী সবুজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাপ্লি আক্তার ঘটনার পরদিন ২রা সেপ্টেম্বর তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এঘটনার ৭ দিন পর সোমবার নিহত সবুজের লাশ আদালত নির্দেশ মতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে গাজীপুর জুরাইন কবরস্থান থেকে নিহত সবুজের লাশ উত্তোলন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, জুরাইন এলাকার রাসনা নিটিং কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন সবুজ পাঠান।
জানা যায়, কোনাবাড়ীর দুলাল মেম্বারের মেয়ে রুনা আক্তার তুরাগ থানাধীন আহালিয়া এলাকায় ভাড়া থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সবুজকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন করে আহালীয়া এলাকার বাসায় ডেকে আনে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রায়হান নামের এক ব্যক্তি সবুজের স্ত্রী বাপ্লিকে মোবাইল ফোনে জানান, সবুজ গুরুতর অসুস্থ তাকে উত্তরার অাধুনিক মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে বাপ্লি হাসপাতালে আসলে চিকিৎসক সবুুজকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সবুজের স্ত্রী বাপ্লি আক্ততার অভিযোগ করে বলেন, রুনা সহ তার স্বজনরা মিলে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার রাত সোয়া ২টার মধ্যে সবুজকে হত্যা করেছে।
তুরাগ থানার ওসি (অপারেশন) দুলাল হোসেন প্রতিবেদক কে বলেন, ওই ঘটনায় থানায় একটি
মামলা দায়েরের পর আদালতে নির্দেশে নিহতের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর এ মামলার রহস্য উদঘাটন সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।