নিজস্ব প্রতিবেদক,বৃহস্পতিবার,১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮:
জনশক্তিকে অর্থনীতির বড় শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বর্তমানে দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম। ২০৪১ সাল নাগাদ এর হার ৭০ শতাংশে উন্নীত হবে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে।’
বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে ‘উদীয়মান বাংলাদেশ : ব্যবসাবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারটির আয়োজন করেন বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। দরকার হলে আরও সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। তাহলে বাংলাদেশিরা আবার বিদেশ থেকে বিনিয়োগ দেশে নিয়ে আসতে বাধ্য হবেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তিখাতের ব্যবসায় সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। বরং নীতিসহায়তা দিয়ে সরকার সব সময় উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে। দেশের অর্থনীতিতে ৮৩ শতাংশ অবদান বেসরকারি খাতের। তাই এ খাতে পণ্য ধরে ধরে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। আগের চেয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সহজ করা হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত হওয়ায় দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়া টাকাও বিনিয়োগ হয়ে ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিখাতে আয়করসীমা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। এর ফলে কর আদায়ের পরিমাণ বাড়বে। করের হার সহজ করলে করদাতা আড়াই লাখ থেকে বেড়ে ৫ লাখে উন্নীত হবে।’
বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত বলেন, ‘বেসরকারি খাত ও বৈদেশিক ঋণ দুশ্চিন্তার বিষয়। বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো অনেক পিছিয়ে। বিনিয়োগকারীরা আসছেন না।’
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখনো মূলধন ঘাটতি, শেয়ারবাজারে বৈদেশিক বিনিয়োগের অংশ ততটা বাড়েনি। এছাড়া, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ওয়ানস্টপ সার্ভিস ততটা নেই। অদক্ষ শ্রমিকের অভাব নেই।’
দক্ষতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকরি অংশিদারিত্বে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মনে করেন ওমর সাদাত।