নিউজ ডেস্ক,বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন দিবাস্বপ্ন দেখতেই পারে। তবে বেশি দেরি নেই এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার। কারণ তাদের স্বপ্নের সাথে জনগণের কোনো সংযোগ নেই। জনগণ যদি সাড়া না দেয় তাহলে তারা আন্দোলন করবে কাকে নিয়ে? আসলে বিএনপির আরেক নাম হচ্ছে ‘মানি না মানবো না’। এ ছাড়া ‘নালিশ পার্টি’ হিসেবে তো তাদের সুপরিচিতি আছেই।
আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রের শুভ মহরত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি একমাসের মধ্যে বাংলাদেশ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। দশ বছর ধরেই তো তারা এই চেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণ বিএনপির কোনো আন্দোলনে সাড়া দেয়নি। দশ বছরে যেটা পারেননি আগামী একমাসে তা পারবে- সেটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। এটা একটা হাস্যকর বিষয়।
কাদের বলেন, বিদেশিদের কাছে কান্নাকাটির পর্ব শেষ করে সর্বশেষে জাতিসংঘে গিয়েও নালিশ করলো। জাতিসংঘে কান্নাকাটি করে বাংলাদেশকে ছোট করলো, অসম্মান করল। বিএনপি দেশের জনগণ ও গণতন্ত্রকে অপমান করলো।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্টের বাইরের কেউ নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে। নির্বাচনের মূল দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশন। সরকার নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।
কাদের বলেন, নির্বাচন যখন আসে তখন অনেক বিষয় মাথাচারা দিয়ে উঠে। অনেকেরই অনেক খায়েশ আছে। আমি শুরু এটুকু জানি- নির্বাচন হবে যথাসময়ে, সংবিধানের আলোকে।
নিজের উপন্যাস নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে, এই বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত কোনো পলিটিশিয়ান উপন্যাস লেখেননি। সেই উপন্যাস নিয়ে কখনও ছায়াছবিও হয়নি। আমার লেখা উপন্যাস নিয়ে আবার ছবি হবে, সিনেমা হবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। এক্ষেত্রে আমি মনে করি আমি একজন ভাগ্যবান মানুষ। আমার জীবনের একটি স্পেশাল ডে আজকে।
এ সময় আরো বক্তৃতা করেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিবিষয়ক আসাদুজ্জামান নূর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।