স্পোর্টস ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮:
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দলের সামনে একই সমীকরণ। হারলেই বাদ আর জিতলে ফাইনাল।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় আবুধাবিতে ম্যাচটি শুরু হবে। পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের লড়াইয়ে যে জিতবে, শুক্রবার ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র তাদের। কিন্তু পাকিস্তানকে নিয়ে ভাবতে বসার আগে বাংলাদেশের চিন্তা অধিনায়ক মাশরাফি ও সাকিবকে নিয়ে।
কেননা দু’জনেই চোট-আঘাতের সমস্যায় ভুগছেন। তবে দুইজনই মাঠে নামছেন বলে জানা গেছে। আরও জানা গেল ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে মাঠে নামবেন মাশরাফি আর সাকিব নামবেন ইনজেকশন নিয়ে।
সাকিবের সমস্যাটা একটু পুরনো। কিছু দিন আগে শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফিল্ডিং করার সময় বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে চোট পান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। আঙুলের হাড়ও সরে গিয়েছিল। ব্যান্ডেজ করে খেলে চলেছেন। অস্ত্রোপচার না করলে ঠিক হবে না। এই অবস্থায় ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে সাকিবকে। বলও করতে হচ্ছে এই বাঁ হাতি স্পিনারকে। ব্যাটও করছেন অতি সতর্কভাবে। যাতে চোটের জায়গায় আরও লেগে না যায়। এই অবস্থাতেই খেলতে নামবেন সাকিব।
আর দীর্ঘদিন ধরে পেস বোলিং করার ফলে ছোটখাটো সমস্যা লেগেই আছে মাশরাফির। এশিয়া কাপে প্রচণ্ড গরমে টানা খেলে যাওয়ার ছাপ পড়ছে তাঁর শরীরে। চোটের একটা ছবি সাংবাদিকদের দেখিয়েছেন মর্তুজা। যাতে দেখা যাচ্ছে, ঊরুতে কালশিটে পড়ে গিয়েছে তাঁর। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। তবে এই যন্ত্রণা নিয়েই খেলার জন্য তৈরি হচ্ছেন মর্তুজা। অবশ্যই আধুনিক ওষুধের সাহায্যে।
টানা খেলার ধকল কতটা পড়েছে দলের ওপর? জানতে চাওয়া হয়েছিল টাইগার কোচের কাছ থেকে। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সাংবাদিক বৈঠকে এসে স্টিভ রোডস বলে গেলেন, ‘‘এই সূচিতে তো সবাইকে খেলতে হচ্ছে। তা হলে আর ওই নিয়ে ভেবে কী হবে। আমরা একটা দিন বিশ্রাম পেয়েছি। সেটাতেই আশা করি সবাই ঠিক হয়ে যাবে।’’ মঙ্গলবার ঐচ্ছিক প্র্যাকটিস ছিল। যেখানে মর্তুজা বা সাকিব আসেননি।
আগের আফগানিস্তান ম্যাচেই মর্তুজাকে পুরো দশ ওভার বল করতে হয়েছে। কারণ মুস্তাফিজুর রহমান দশ ওভার বল করার ধকল নিতে চাননি। যেটা করতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজের চোট বাড়িয়ে ফেলেছেন। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিমও পাঁজরের চোটের সমস্যায় ভুগছেন। যদিও সেটা এমন কিছু গুরুতর নয় বলেই জানা যাচ্ছে। তিনি এ দিন প্র্যাকটিসও করেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা