২৪০ রানের টার্গেট ছিল পাকিস্তানের সামনে। তেমন বড় টার্গেট নয়। তবে এই রানই যে তাদের জন্য এতটা কঠিন হয়ে উঠবে, ভাবা যায়নি।
আবুধাবি পাকিস্তানের অন্যতম হোম গ্রাউন্ড। এখানে তাদের চমৎকার রেকর্ড। আর তপ্ত মরুর শহরে এবারই প্রথম বাংলাদেশ। সাকিব, তামিমের মতো সেরা দুই সদস্য আবার দলের বাইরে। শুরুতে মহা ব্যাটিং বিপর্যয়। ১২ রানে নেই তিন উইকেট। অসংখ্য প্রতিকূলতা।
সেই প্রতিকূলতা জয় করেই এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে গেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচে মাশরাফিরা জিতেছে ৩৭ রানে (বাংলাদেশ ২৩৯, পাকিস্তান ২০২)। মাঠে উপস্থিত হাজার দশেক প্রবাসী প্রিয় দলের জয় প্রাণভরে উপভোগ করেছেন।
মুশফিক (৯৯ রান) ও মিথুনের (৬০ রান) দারুণ ব্যাটিং ও পরে বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মনে রাখার মতো জয়টা তুলে নেয় বাংলাদেশ। অসাধারণ বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। ৪৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামান তিনি। গত ম্যাচেও কাটার বয়ের কারণে শেষ ওভারের নাটক জিতেছিল বাংলাদেশ।
টাইগারদের এমন জয়ে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে সাবেক কিংবদন্তীরা। তাদের মধ্যে বাদ পড়েননি পাকিস্তানের বুম বুম খ্যাত আফ্রিদিও। টাইগারদের এমন জয়ে প্রশংসা করেছেন তিনি। প্রশংসার পাশাপাশি পাকিস্তানের ক্রিকেটের সমলোচনাও করেছেন আফ্রিদি।
পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘ প্রথমেই অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশকে তাদের দূর্দান্ত এই জয়ের জন্য। আশা করছি ফাইনালেও তারা ভারতের বিপক্ষে ভালো করবে।’
এসময় পাকিস্তানের সমলোচনা করে আফ্রিদি বলেন,‘পাকিস্তান দল তাদের পারফরম্যন্সে চরম ভাবে হতাশ করেছে। মাঠে তাদের আক্রমনাত্বক ক্রিকেটে বেশ ঘাটতি ছিল। এটা সম্পূর্নই একটি তরুণ দল। যারা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বেশ ভালো করেছিল। তাদের উপর আমাদের অনেক আশা ছিল। প্র্যকটিসে বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। আশা করছি খুব ভালো ভাবে তারা আবারো ফিরে আসবে’