লিটন যখন সাজঘরে পা বাড়ান, তখনো বাংলাদেশ ইনিংসের ৫৪ বল বাকি ছিল। হাতে অবশিষ্ট ছিল ৪ উইকেট। কে জানে, লিটন তখন আম্পায়ারের ভুলের শিকার না হলে হয়তো আরও একটি বড় জুটি গড়ে উঠতেও পারতো। লিটনের সঙ্গী সৌম্য ৩৩ রান করেছেন। লিটনের ব্যাট থেকে আর ২০/২৫ রান যোগ হলে স্কোর ২৫০ পেরিয়ে যেতেও পারতো।
শুরুর সাথে শেষটার কি অস্বাভাবিক অমিল! প্রথম উইকেটে ১২০ রান তোলা দল ২২২ রানে অলআউট। ভাবা যায়!
পুরো আসরে উদ্বোধনী জুটিতে রান না পাওয়া বাংলাদেশ ফাইনালে লিটন দাস আর মেহেদী মিরাজের অসামান্য দৃঢ়তায় শতরানের রানের ওপেনিং জুটি পেয়েও বড়সড় স্কোর গড়ে তুলতে পারেনি। এই ব্যর্থতার দায় পুরোটাই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের।
যে মুশফিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শতরান আর পাকিস্তানের সাথে ৯৯ রানের দু’দুটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন, আজ ফাইনালে সেই মুশফিক হাঁটলেন ভুল পথে। ভায়রার পদাংক অনুসরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
মিঠুন, ইমরুলও কিছুই করতে পারলেন না। দুই ওপেনার ছাড়া শেষ দিকে সৌম্য (৩৩) ডাবল ফিগারে পা রাখলেন। মিডল ও লেট অর্ডারের এমন চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভক্ত-সমর্থকদের মন খারাপ। এর সাথে মিঠুন, নাজমুল অপুু ও সৌম্য সরকার- তিন তিনটি রান আউটও হতাশার মাত্রাকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু আবার ভিন্ন কথাও আছে। থার্ড আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে আউট হয়েছেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারে প্রথম শতরান করা লিটন প্রথম ১৫ থেকে ২০ ওভারে ভুবনেশ্বর, বুমরাহ, চাহাল, কেদর ও কুলদ্বীপ যাদবের মাপা বোলিংয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে উইকেটের সামনে ও দুদিকে অনেকগুলো নজরকাড়া শটস খেলে মাঠ গরম করে দেন।
সঙ্গী মিরাজ (৩২) আউট হবার পর মড়ক লাগলেও লিটন দাস একদিক আগলেই ছিলেন। ৫২ রানে একবার আকাশে ক্যাচ তুলে জীবন পাবার পর লিটন মনোযোগী হয়ে পড়েন একদিক দিক আগলে রাখায়। কিন্তু তার সে দায়িত্বপূর্ণ ইনিংসটি শেষ হয় থার্ড আম্পায়ার রড টাকারের ভুল সিদ্ধান্তে।
দল হারলেও শেষমেষ ম্যাচ সেরার পুরুষ্কার পেয়েছেন লিটন।
খেলাটি সরাসরি অনলাইনে দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন…। জি-মেইল বা ফেসবুক দিয়ে লগইন করুন আর খেলা দেখুন…।