বাংলাদেশের বিপক্ষে সব সময়ই রোহিত শর্মার ব্যাট থাকে যেন খোলা তরবারি। সেই তরবারির আঘাতে বারবার তিনি ম্যাচ জেতান ভারতকে। এবারও রোহিত শর্মা সেই একই পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। চলতি এশিয়া কাপে এমনিতেই রোহিত শর্মা ছিলে দুর্দান্ত ফর্মে। পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের ২২২ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে গিয়ে রোহিত শর্মা খেলে ফেলেছিলেন ৪৮ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। তার ব্যাট যখন ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল, তখনই রুবেল হোসেন আঘাত হানেন তার ওপর। ১৭তম ওভারে রুবেলের চতুর্থ বল ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে নাজমুল ইসলাম অপুর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার পর দিনেশ কার্তিককে নিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৫৪ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে ফাঁদে পড়েন দিনেশ। ৩৭ রানের মাথায় লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরে যান তিনি।
মাত্র ২২৩ রানের লক্ষ্য। এশিয়া কাপের ৭ম শিরোপা ঘরে তোলার জন্য ভারতের সামনে বেশ সহজ লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে উড়ন্ত সূচনাই করেছে ভারতীয়রা। রোহিত শর্মা আর শিখর ধাওয়ান মিলে শুরু থেকেই ছিলেন মারমুখি। ৪.৪ ওভারেই দু’জনের ওপেনিং জুটিতে উঠে যায় ৩৫ রান।
কিন্তু ৫ম ওভারের ৪র্থ বলে এসে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাজমুল ইসলাম অপু। মাত্রই দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলছেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। তার করা আউটসাইড অফের বলটি খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ধাওয়ান। মিড অফে সেটি তালুবন্দী করে নেন সৌম্য সরকার। ১৪ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান ধাওয়ান। নাগিন ড্যান্স দিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন অপু।
অষ্টম ওভারেই আম্বাতি রাইডুকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওভারের তিন নম্বর বলটিকে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন রাইডু। কিন্তু ব্যাটে বলে করতে পারেননি ঠিক মত। বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে গিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে। ২ রান করে আউট হয়ে যান রাইডু।
মহেন্দ্র সিং ধোনি টিকে থাকা মানেই বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নেয়া। রোহিত শর্মা এবং দিনেশ কার্তিক ফিরে গেলেও ধোনি টিকে ছিলেন এবং ধীরে ধীরে ম্যাচটাকে বাংলাদেশের বলয় থেকে বের করে নিচ্ছিলেন। অবশেষে সেই ধোনিকে ফিরিয়ে দিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
দুর্দান্ত এক কাটারে পরাস্ত করেন ধোনিকে। তার অফ কাটারের বলটিকে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ধোনি। শেষ পর্যন্ত ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বলটা চলে যায় উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহীমের হাতে। ৬৭ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন কুমার দাসের ১২১ রানের অনবদ্য ইনিংসের ওপর ভর করে ২২২ রানের সংগ্রহ গড়ে তোলে বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। ব্যাটিং করছিলেন কুলদিপ ও যাদাব। বোলিং প্রান্তে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম বলে ৪ বলে আসে ৪ রান। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রান। কুলদিপ মাহমুদউল্লাহর ৫ম বলে ১ রান নিয়ে দেন যাদাবকে। শেষ বলে ১ রান তুলে নিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।
খেলাটি সরাসরি অনলাইনে দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন…। জি-মেইল বা ফেসবুক দিয়ে লগইন করুন আর খেলা দেখুন…।