শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। ৪৯তম ওভার করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দিলেন মাত্র ৩ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ৬ রান। বোলিং কে করবেন? কোনো পেসার বাকি নেই আর। স্পিনার মিরাজ আর মাহমুদউল্লাহর ওভার বাকি। বল তুলে দেয়া হলো সৌম্য সরকারের হাতে। পরে সিদ্ধান্ত বদলে দেয়া হলো মাহমুদউল্লাহর হাতে। বিপিএলে এমন পরিস্থিতিতে দলকে জেতানোর সামর্থ্য আছে তার।
প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে ১ রান নিলেন কুলদ্বীপ যাদব। পরের বলে কেদার যাদব নিলেন ১ রান। তৃতীয় বলে নিলেন ২ রান। ৩ বলে প্রয়োজন ২ রান। চতুর্থ বলে কোনো রান দিলেন না রিয়াদ। ২ বলে প্রয়োজন ২ রান। ৫ম বলে নিলেন সিঙ্গেল। দু’দলের ইনিংস হয়ে গেলো সমান। ১ বলে প্রয়োজন ১ রান। এবার কেদার যাদব লেগ স্ট্যাম্পের ওপর বল পেয়েই ঠেলে দিয়ে নিয়ে নিলেন ১ রান। ৩ উইকেটে জিতে গেলো ভারত। তীরে এসে আবারও তরি ডুবলো বাংলাদেশের।
টান টান উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচ। ২২২ রান করেও যে বাংলাদেশ এতটা লড়াই করবে, সেটা কারোরই ধারণায় ছিল না। অথচ মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মিরাজ আর মাহমুদউল্লাহরা যেভাবে লড়াই করলেন, সেটা রীতিমত বিস্মকর। শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা,
দিনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা রবীন্দ্র জাদেজারা আউট হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত কেদার যাদব রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে টিকে ছিলেন।
শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমে তিনিই জিতিয়ে দিলেন ভারতকে। একেবারে শেষ বলে এসে সিঙ্গেল রান নিয়ে ভারতকে তিনি এনে দিলেন ৩ রানের জয়। ৭মবারের মত এশিয়া কাপ জিতলো ভারত।
শেষ বলে ম্যাচ হেরে মাশরাফি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা অনেক মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছি। আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়েছি কিন্তু আমি মনে করি আমরা আজ মাঠে অনেকগুলো ভূল করেছি। আমরা খুবই ভালো বল করেছি। যদি আমরা ২৪০+ করতে পারতাম তাহলে হয়তো রেজাল্টটা অন্যরকম হতে পারতো। আমি ব্যটসম্যানদের বলেছিলাম অন্তত ২৬০ রান করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা পারেনি। সবশেষ আমার বোলাররা খুবই ভালো বল করেছে।’