নিম্ফোম্যানিয়াক হার্ভের কীর্তি সামনে আনেন হলিউডের নামী নায়িকারাই। কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান মেলে। একে একে নায়িকারা হার্ভের যৌন কুকীর্তির কথা সামনে আনেন।
জানা যায়, সিনেমাকে সামনে রেখে নিজের বিকৃত যৌনতা ক্রমাগত চরিতার্থ করেছেন এই প্রযোজক। তবে শুধু তিনি একা নন। নায়িকারা জানিয়েছেন, হলিউডে বহু ওয়েনস্টাইন আছেন। গোটা হলিউড জুড়েই প্রযোজকরা যৌনতার ফাঁদ পেতে রেখেছেন। হয় তাতে পা দিতে হবে। নইলে অভিনয় জীবনের শেষ। বাধ্য হয়েই নায়িকারা তার শিকার হন।
অথবা পা দেওয়ার পর বুঝতে পারেন কোন চক্র তাঁদের বেঁধে ফেলেছে। তখন আর ফেরার উপায় থাকে না। বলিউডও এ ব্যাপারে সরব হয়। সেখানেও যে কাস্টিং কাউচ বিদ্যমান তা নিয়েও সোচ্চার তাঁরা।
তবে সকলেই যে প্রযোজকের লালসার সামনে আত্মসমপর্ণ করেছিলেন তা নয়। অনেকেই তার প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সে তালিকাতেই পড়েন অভিনেত্রী সালমা হায়েক।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ওয়েনস্টাইন ক্রমাগত তাঁর পিছনে লেগেছিলেন। একের পর এক কুপ্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন। হোটেলের ঘর রাতেও খুলে রাখতে বলা হত। এমনকী একসঙ্গে স্নান করারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় প্রস্তাব দেওয়া হযেছিল, তিনি স্নান করলে প্রযোজক তা দেখবেন। তাতেও রাজি না হলে ওব়্যাল সেক্সের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনকী কিছু না হলে বলা হয়, ছবিতে অন্য একজন মহিলার সঙ্গে যৌন দৃশ্যে লিপ্ত হতে হবে সালমাকে।
সালমা বলেন, তিনি প্রযোজক না হলেও যে ছবিতে সালমা কাজ করেছেন, সেখানেই মাথা গলিয়েছিলেন ওয়েনস্টাইন। সেদিন প্রযোজকের চাপে পড়ে যৌন দৃশ্যে অভিনয় করা ছাড়া দ্বিতীয় পথ পাননি সালমা। বরাবর আরও খোলামেলা, আরও যৌনতা চেয়েছিলেন সালমা। গল্পের খাতিরে বলেই তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল সে কাজ করতে। যদিও এতবছর পর সে দৃশ্যকে ননসেন্স বলেই মনে করেন অভিনেত্রী।
যথারীতি এবারও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েনস্টাইন। জানিয়েছেন, এরকম কোনও চাপ তিনি দেননি। যদি কোনও দৃশ্য থেকে থাকে তবে তা গল্পের প্রয়োজনেই। যদিও ওয়েনস্টাইনের ইতিহাস জানাচ্ছে, তাঁর এ সাফাইয়ের গ্রহণযোগ্যতা তলানিতেই।
মেঘনায় লঞ্চ-কার্গো সংঘর্ষে বেঁচে গেল দুই শতাধিক যাত্রী / মুহূর্তেই ডুবে গেল: ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন….