২০১৮ সালটা সাকিব আল হাসানের জন্য একটু ব্যতিক্রমী গেল। বাংলাদেশ টেস্ট দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ টেস্ট দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে তার জন্য পুরো টাই দায়ী ইনজুরি। ইনজুরির কারণে এবছর দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেনি সাকিব আল হাসান। এবার আবারো ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না আসন্ন জিম্বাবুয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ।
এতে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মুশফিকুর রহিম কে সরিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট দলের দায়িত্ব দেয়া হয় সাকিব আল হাসানের উপর। কিন্তু হাতের অপারেশনের কারণে তিন থেকে চার মাসের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ টেস্ট দলে এখন দায়িত্ব উঠবে কার হাতে এটা নিয়ে এখন বড় প্রশ্ন ভুগছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরলে মুশফিক সন্দেহাতীতভাবেই বাংলাদেশের সফলতমত টেস্ট অধিনায়ক। এ দেশের টেস্ট ইতিহাসের তিন তিনটি বড়, অবিস্মরনীয় ও ঐতিহাসিক অর্জন তার নেতৃত্বেই।
মুশফিকের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বশক্তির বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় লঙ্কানদের বিপক্ষে শততম টেস্টের অবিস্মরনীয় ও ঐতিহাসিক জয়ের মিশনেও মুশফিকুর রহীমই ছিলেন অধিনায়ক।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, টেস্ট অধিনায়কের আর্মব্যাজ পরে ব্যাটসম্যান মুশফিকও টেস্টে অনেক বেশি সফল। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের মোট রানের ৬০ ভাগেরও বেশি করেছেন অধিনায়ক হয়ে খেলার সময়। অধিনায়কত্ব ছাড়া মুশফিক ২৮ টেস্টে ৫৫ ইনিংসে তিনবার অপরাজিত থেকে করেছেন ১৩৭৮ রান। শতরান মাত্র একটি। অর্ধশতক সাতটি। গড় ২৬.৫০।
অন্যদিকে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের পরিসংখ্যান অনেক সমৃদ্ধ। তার টেস্ট রান; ৩৪ টেস্টে ৬১ ইনিংস পাঁচবার নটআউট সহ ২৩২১। একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ সর্বোচ্চ ২০০। গড় অনেক বেশি; ৪১.৪৪। মোট পাঁচ শতকের চারটি অধিনায়ক হিসেবেই। ১২টি হাফ সেঞ্চুরিও আছে। অার তাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কিছু সদস্য ও চাচ্ছেন মুসফিকুর রহিমকে।