চোট পেয়ে তামিম-সাকিব আপাতত বিশ্রামে আছেন। জিম্বাবুয়ের সিরিজে ফেরা হচ্ছে না তাদের। এদিকে তাদের বিকল্প হবে কারা এই নিয়ে চিন্তিত বোর্ড।
বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটেই ওপেনিংয়ে আস্থার নাম তামিম ইকবাল। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান তিনি। বিপত্তিটা তার যোগ্য সঙ্গী নিয়ে।শেষ দশ-বারো বছরে তামিমের পার্টনার খুঁজতে কম বেগ পেতে হচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। তবুও মিলছে না আশ্বস্ত হওয়ার মত কোন খবর। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপেও ফুটে উঠেছে একই দশা। তামিমকে ছাড়াতো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না ওপেনিংয়ের অস্তিত্ব।
তবে ফাইনালে এসে নিজেকে নতুন করে চিনিয়েছেন লিটন কুমার দাস। নিজের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সাথে হাকিয়েছেন শতক। ক্লাসিক্যাল ব্যাটিংয়ে চিনিয়েছেন নিজের জাত।আর এতেই অধিনাকের মন জয় করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। মির্ডল অর্ডারে আস্থা যুগিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনও। তাকেও ভরসা হিসাবে দেখেছেন মাশরাফি।
মাশরাফি বলেন, ‘প্রথম যদি বলি লিটন (লিটন কুমার দাস), মিঠুন (মোহাম্মদ মিঠুন) যে দুইটা জায়গা খুব ইম্পরট্যান্ট ছিল, আমরা খুঁজছিলাম যে দুইটা জায়গা। এই দুই জায়গাতে দুই প্লেয়ার পারফর্ম করেছে এটা খুব পজিটিভ। ভালো কিছুই আশা করি ওদের থেকে। এখন ওরা এটাকে কতটুকু উপরে নিয়ে যেতে পারবে তা ওদের উপরেই নির্ভর করছে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘একটা ইনিংস দিয়ে যদিও বিবেচনা করা যায় না যে সে ফর্মে আছে কি নেই। তবে আশা করি ওরা বুঝতে পেরেছে ওদের অ্যাবিলিটি আছে এধরণের স্টেজে পারফর্ম করার।’শিরোপাটা দূরে রাখলে এই টুর্নামেন্টে টাইগার দলটার পাওয়ার ঝুলিটাই ভারি হয়েছে বেশি। ফিরে পাওয়া গেছে দলের বোলিং বিভাগের সেরা অস্ত্র মুস্তাফিজুর রহমানকে। পুরো টুর্নামেন্টেই অসাধারণ বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। সর্বমোট ৪২ ওভার বোলিং করে ওভার প্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৪.৪০ গড়ে। এর চেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে তার বোলিংয়ে দেখা গেছে সেরা সময়ের ছন্দ, কাটার-স্লোয়ারে পরাস্ত করেছেন ব্যাটসম্যানদের।
চোটের পর কাটার স্পেসালিস্টের এমন প্রত্যাবর্তনে তাই বেশ খুশি মাশরাফি। জানিয়েছে ফিজ নিজেকে ফিরে পাওয়াতে আখেরে দলের জন্যই লাভ হবে। মাশরাফি বলেন, ‘মুস্তাফিজ কামিং ব্যাক। আগের মতো ফিরে আসছে আস্তে আস্তে। এটা খুবই পজিটিভ।
একই সময়ে টিম যেভাবে অ্যাফোর্ট দিয়েছে ওরা বুঝতে পারবে যে পুরোপুরি চেষ্টা করলে অনেক কিছু করা সম্ভব যেকোন কঠিন পরিস্থিতিতে। এখান থেকে লিসন নিতে পারলে খুব ভালো হয়।’