পৃথিবীর অমূল্য সম্পদ। মায়ের প্রতি প্রত্যেক সন্তানের ভালোবাসা অপরিসীম। কিন্তু, সেই মায়ের সঙ্গে কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে তাহলে সন্তানের মাথা গরম হওয়ায় স্বাভাবিক। আর সেটা যদি হয় শ্লীলতাহানি তাহলে তো কোনো কথায় নেই। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে।
মায়ের শ্লীলতাহানি হওয়ার অভিযোগে নিজের বন্ধুর মুণ্ডু কেটে থানায় হাজির হলেন, পশুপতি নামে এক ব্যক্তি।
ভারতের কর্নাটকের মান্ড জেলায় নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, পশুপতি জানতে পারেন, তার মায়ের শ্লীলতাহানি করেছেন গিরিশ নামে তারই এক বন্ধু। এটা শোনার পর পশুপতির মাথা গরম হয়ে যায়। এরপর বন্ধু গিরিশের সঙ্গে তুমুল বিবাদ শুরু হয় তার।
পুলিশ জানিয়েছে, ক্রোধের বশেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গিরিশের মাথা এক কোপে নামিয়ে ফেলে পশুপতি। এখানেই শেষ নয়, এরপর সেই মাথা নিয়ে থানায় স্বয়ং উপস্থিত হন পশুপতি। এটা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত পুলিশ কর্মকর্তারা। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে তিন বার এমনটি ঘটল কর্নাটকে।
গত মাসেও কর্নাটকের শ্রীনিবাসপুরে এক নারীর মাথা নিয়ে থানায় হাজির হন আজিজ খান নামে এক ব্যক্তি। ওই ঘটনা দেখেও অবাক হয় থানার পুলিশ কর্তারা। পরে অবশ্য জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আজিজের।
চিকম্যাঙ্গালুরু পুলিশ স্টেশনে এক নারীর মুণ্ডু নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সতীশ নামে এক ব্যক্তি। ওই নারীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পেরে ভয়ঙ্কর এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সতীশ। এমনকি স্ত্রীর মাথা বস্তায় ভরে ২০ কিলোমিটার মোটরসাইকেল চালিয়ে থানায় হাজির হয়েছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পুলিশের কাছে সতীশ জানান, সরি স্যার, স্ত্রীর প্রেমিকাকেও মারতে পারলাম না!