এক দিকে যেমন রয়েছেন রোহিত শর্মা, লিটন দাস, রশিদ খানরা। যারা এবারের এশিয়া কাপে চমক দেখিয়েছেন। তেমনই রয়েছেন এমন অনেক ক্রিকেটার যারা কার্যত ব্যর্থ। কারা আছে সেই তালিকায়। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক তাদের কয়েক জনকে।
কুশল মেন্ডিস: শ্রীলঙ্কার এই ওপেনারটি সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। একে বারে প্রথমেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়া শ্রীলঙ্কার ওই ওপেনারের রান দু-অঙ্কের ঘরেই পৌঁছায়নি।
ফাখার জামান: পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার। এশিয়া কাপের আগেও এই পাক ওপেনারের ব্যাট থেকে আগুন ঝরেছে। কিন্তু এশিয়া কাপে কোথায় যেন সব কিছু হারিয়ে গেল। পাঁচ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৫৬ রান।
আজগর স্ট্যানিকাজাই: আফগানিস্তানের সমর্থকদের খুবই আশা ছিল তাকে ঘিরে। কিন্তু চূড়ান্ত হতাশ করেছেন তিনি। পাঁচ ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেলেও করেছেন মাত্র ১১৫ রান।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ: শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অধিনায়কের কাছেও এশিয়া কাপ খুবই হতাশার। এশিয়া কাপে হতাশজনক পারফরম্যান্সের জন্য কেবল অধিনায়কত্ব হারালেন তাই নয়, বাদ পড়লেন দল থেকেও।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ: বাংলাদেশের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানটি খুবই আশাহত করেছেন তার সমর্থকদের। এবারের বিশ্বকাপে ৬ ইনিংসে তিনি করেছেন মাত্র ১৫৬ রান।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: প্রাক্তন এই ভারতীয় অধিনায়কের কাছেও কিন্তু এশিয়া কাপ খুব একটা ভালো গেল না। যখনই মিস্টার কুলকে দরকার পড়েছে দলের তখনই হতাশ করেছেন। সেই ধারা অব্যাহত ছিল ফাইনালেও।
সরফরাজ আহমেদ: পাক অধিনায়কটি এশিয়া কাপের আগে অনেক হুঙ্কার দিয়েছিলেন। ভারতকে দেখে নেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল উল্টো ছবি। দু-একটা ম্যাচে কিছুটা রান করলেও আখেরে ব্যর্থ হন।
হাসান আলি: পাকিস্তানের বোলারের এই বছরটা খুবই খারাপ যাচ্ছে। এশিয়া কাপে মাত্র পাঁচটি উইকেট পেয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ আমির: বাঁ হাতি পাক পেসারের উপর দলের অনেকটাই ভরসা ছিল। কিন্তু দলকে খুবই হতাশ করলেন। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য বাদও পড়েন দল থেকে।
যুজবেন্দ্র চহাল: ভারতীয় দলের ভরসার এই স্পিনার কিন্তু কেমন কিছু করতে পারেননি। দু-একটা উইকেট পেলেও তেমন ভাবে নিজের নামের প্রতি সুনাম বজায় রাখতে পারেননি।
আমিলা আপোনসো: শ্রীলঙ্কা দলের এই বোলারের উপর ভরসা করেছিল দল। কিন্তু বল হাতে তেমন দাগ কাটতে পারেননি তিনি।