সাধে কী আর তামারপাত্রের এত ব্যবহার ছিল সে আমলে। সাধে কী বাপঠাকুরদারা তামার বাসনে আয়েশ করে খেতেন। তখন জীবনযাত্রা ছিল সহজ। মানুষ ছিল ভীষণ সুখী।
সোনা, রুপোর দাম যেমন আকাশ ছোঁয়া ছিল না, তেমনই তামার বাসান পাওয়া যেত ভূরি ভূরি। একেবারে খাঁটি তামা। পানি খাওয়ার পাত্রটিও ছিল ভারী তামার তৈরি। স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই তামার এত চল ছিল সে আমলে। কোথায় তখন স্টিল, গ্লাস!
চলুন জেনে নিই, তামার বাসনে খেলে শরীরের কী কী উপকার হতে পারে –
জীবাণু থেকে মুক্তি
তামার পাত্রে পানি খেলে শরীর জীবাণুমুক্ত হয়। তামায় জীবাণুরোধী গুণ আছে। বহু রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে তামা। তামার পাত্রে রাখা পানিতে অল্প সময়ের মধ্যেই E-কোলাই দূর হয়। জলবাহিত রোগ, যেমন সালমোনেলোসিস, টাইফাস, কলেরা, হেপাটাইটিস A ও এন্টারোভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করে তামা।
থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখে
থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক কার্যকারিতা নির্ভর করে শরীরে কতটা তামা আছে তার উপর। নানা কারণে থাইরয়েড সমস্যা হতে পারে। তামার স্বল্পতা একটা বড় কারণ। খাওয়ার ঠিক আগে তামার পাত্রে রাখা এক গ্লাস পানি খেলে থাইরয়েড সমস্যা নির্মুল হতে পারে।
আর্থারাইটিস ও অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ
আর্থারাইটিস ও গাঁটের ব্যথা উপশমে তামা ব্যবহৃত হয়। রিউম্যাটিক আর্থারাইটিস থেকে গাঁটের ব্যথা – সবেতে তামা দারুণ কাজ দেয়। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা মোকাবিলায় সাহায্য করে। তামার পাত্রে রাখা গ্লাস পানি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে।
তাই আর সময় নষ্ট নয়। পানি রাখতে তামার পাত্র ব্যবহার শুরু করুন। আসল কথা হল, ওল্ড ইজ় গোল্ড। পুরোনো দিনের কিছু নিয়ম মেনে চলুন, ঠকবেন না।