সঞ্চারী ও সঙ্গীতের প্রথম আলাপ ‘অপুর সংসার’-এর সেটে। প্রথম দেখাতেই দু’জনেরই ক্রাশ হয়েছিল ঠিকই কিন্তু প্রেম তো হয়ই নি সেই সময়, উল্টে ওই নন-ফিকশন শো-টি শেষ হওয়ার পরে সঙ্গীতের সমস্ত ফোন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলি একটু একটু করে ব্লক করে দিয়েছিলেন সঞ্চারী।
এমনটা নয় যে সঙ্গীতকে অপছন্দ করতেন তিনি, বরং উল্টোটাই। তবুও এই অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। সঙ্গীত নিজেও জানতেন যে সঞ্চারীও পছন্দ করেন তাঁকে। তাই এই অদ্ভুত খেয়ালটুকু মেনে নিয়েছিলেন। এই ভাবেই চলল বেশ কয়েক মাস এবং তার পরেই একদিন একটা সুযোগ এল।
‘‘ওর বোলপুর বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল ওর বান্ধবীদের সঙ্গে। তখন ও আমার কাছে জানতে চায় যে ওখানে ভাল বাউল গান করেন এমন কে আছেন’’, বলে চলেন সঙ্গীত, ‘‘তখনই কথায় কথায় জেনে নিই যে কবে যাচ্ছে বোলপুর আর কোথায় থাকছে। এই পুরো কথাটাই হয় ইনস্টাগ্রাম মেসেজে কারণ আমার নম্বর তো ও ব্লক করে রেখেছিল। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলেও ব্লক ছিল। শুধু এই কথাবার্তার সময়টুকু ব্লকটা তুলে নেয়। কথা যেই শেষ হয়, তখনই আবার ব্লক করে দেয়।’’
বোলপুরের টিকিট বুক করতে আর একটুও দেরি করেননি সঙ্গীত। ১৬০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ছুটে গিয়েছিলেন কাউকে কিচ্ছু না বলে। আর তার পরের ঘটনাটা জানালেন সঞ্চারী, ‘‘আমি তখন খোয়াইয়ের হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছি সেজেগুজে। আমার বান্ধবীরা কেনাকাটা করছে। হঠাৎ পিছন থেকে একটা গলা শুনলাম, ‘চা খাবে সঞ্চারী’? আমি ঘুরে তাকিয়ে ওকে দেখে জিজ্ঞেস করলাম কেন এসেছ তুমি এখানে?’’
তখন সঙ্গিত বলেছিল, আমি কিছুই করতে আসিনি। আমি শুধু একবার দেখতে এসেছিলাম এবং এখান থেকেই ফিরে যাব।
তবে তার আর ব্যর্থ হয়ে যাওয়া হয়নি। একেবারে সফল হয়েই ফিরেছেন। তাদের দুজনের বিয়েও ঠিক হয় এবং আংটিও পড়িয়ে যান এক নজর দেখতে আসা প্রেমিকাকে।