চট্টগ্রামের দল, তাই হয়তো দলের দায়িত্বভারের মূলে ছিলেন তামিম ইকবাল। বারকয়েক চেষ্টার পরও আসল সফলতা এনে দিতে পারেননি তিনি। খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে, বিপিএলে ৫টি আসর অনুষ্ঠিত হলেও শীর্ষে পৌঁছাতে ব্যর্থ দলটি। এ জন্য, সদূরপ্রসারী চিন্তা করে নিজের বিভাগের দল ভাইকিংস ছেড়ে কুমিল্লাতে নাম লেখান তামিম ইকবাল।
নতুন নেতৃত্ব নিয়েও পঞ্চম আসরে সুবিধা করতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। এ জন্যই দলটি গুটিয়ে ফেলার পরিকল্পনা মালিক পক্ষ ডিবিএল গ্রুপের। সোমবার ( ১ অক্টোবর) ঘটা করে বিসিবিকে মেইল বার্তায় জানিয়ে দেয় অপারগতার কথা। আর এতে বিপাকে পড়ে যায় বিপিএল আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই নেই বরিশালের দল, তার উপরে বিপিএলের সূচির সাথে সংঘর্ষ ঘটবে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশের।
তাই চট্টগ্রাম থেকে দল না থাকার পক্ষে নয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। যে কারণে এরই মধ্যে ডিবিএল গ্রুপের সাথে আলোচনায় বসে তাদের অন্তত এ আসরে অংশগ্রহণে রাজি করানোর পথ খুঁজছে বিপিএল আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আজ বিকেলে চিটাগাং ভাইকিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিবিএল কর্তৃপক্ষ ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের উচ্চপর্যায়ের ক’জন কর্তাদের সাথে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে।
সে কথোপকথনে ডিবিএল গ্রুপের স্বত্বাধিকারী হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি, সময় চেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে বুধ-বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ডিবিএল কর্তৃপক্ষ বোর্ডকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। ফলে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না বিসিবি বা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
তবে একটি বিশেষ সূত্র নিশ্চিত করেছে, অন্তত এই আসরের জন্য ডিবিএল গ্রুপকে ৬ষ্ঠ আসরে খেলার ব্যাপারে রাজি করানো হবে। এছাড়া বিসিবির অ্যাপ্রোচ কিংবা আকরামের কথাবার্তায় এটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে বিপিএলের আসন্ন মৌসুমে নিশ্চিতভাবেই থাকবে চট্টগ্রামের দল। কিন্তু দলের মালিকানা বা ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে কাদের হাতে সেটি নিয়েই এখন যতো অনিশ্চয়তা ও দোটানা।