বিয়ের আগে মহিলাদের নানা কথা শুনতে হয়, যেখানেই যাক না কেন সকলের একই প্রশ্ন থাকে, ‘এখনো বিয়ে করছ না কেন, সমস্যা কি’ ইত্যাদি। কিন্তু বিয়ের পরও কি মানুষের কথা এবং প্রশ্ন শেষ হয়ে যায়?
মোটেই না। বরং তখন নতুন নতুন নানা প্রশ্নের সূচনা ঘটে। এবং বিয়ের পরে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন এই সকল কথা এবং প্রশ্ন শুনতে শুনতে মহা বিরক্ত হয়ে যান বিবাহিতা মহিলারা। যদিও বিরক্ত থাকলেও মুখের উপর কথা শুনিয়ে দিতে পারেন এমন কম মহিলাই আছেন।
১) বিয়ে তো হলো, বাচ্চা নিচ্ছ কবে?
বিয়ের আগে মেয়েদের শুনতে হতো ‘বিয়ে কবে করছ?’, বিয়ের পরেও কিন্তু কথা শোনার হাত থেকে একেবারেই নিস্তার নেই। বিয়ের পরে শুনতে হয় ‘বাচ্চা কবে নিচ্ছ, সন্তানের ব্যাপারে কি ভাবছ’। বাচ্চা না নেওয়ার আগ পর্যন্ত একই কথা সবখানে শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে যান অনেক মহিলাই।
২) বিয়ের পর অনুভূতি কেমন?
বিয়ের পরপরই যার সাথেই দেখা হোক না কেন, পাড়াপ্রতিবেশী বা আত্মীয়স্বজন সকলের একই প্রশ্ন ‘কেমন লাগছে বিয়ে করে’। সকলের প্রশ্নে বিরক্ত হলেও কিছু করার নেই হাসিমুখে তাকিয়ে থাকতে হয়।
৩) তোমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে
বিয়ের পর ১ টি নয় মূলত ৩ টি সংসারের দায় দায়িত্ব ঘাড়ে চেপে যায়, তখন মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় একটু হলেও পরিবর্তন আসেই। এটিই স্বাভাবিক। এই নিয়ে কথা বা প্রশ্ন করা পুরোপুরি অবাঞ্চক।
৪) নাম পরিবর্তন করছ না কেন এখনো?
কেন নাম পরিবর্তন করাটা কি খুব জরুরী? একজন মেয়ে তার বিয়ের সাথে সাথেই নাম পরিবর্তন করতেই হবে? যদি তার স্বামী-শ্বশুরবাড়ি কিছুই না বলেন তারপরও পাড়া-প্রতিবেশির এতো আগ্রহ কেন তা কিছুতেই বুঝতে পারেন না বিবাহিতাগণ।
৫) নিজের ঘর/ফ্ল্যাট কিনে ফেলছ না কেন?
অনেকেই মনে মনে ভাবেন, ‘জ্বি, আপনি টাকাটা পাঠিয়ে দিন, কালকেই কিনে ফেলবো’। যিনি সংসার চালান তিনিই জানেন তার কতোটা কীভাবে সামাল দিতে হয়।
৬) শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেমন?
মানুষের প্রশ্নের কোনো সীমা নেই এবং শেষও নেই। মেয়েটির কাছে জিজ্ঞেস করবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কথা এবং সেটাকে বড় করে রঙমাখিয়ে উপস্থাপন করবে শ্বশুরবাড়ির মানুষের সামনে।
৭) তোমরা কি ঝগড়া করো?
পরের ঘরের কথা শুনতে সকলেই এক ধাপ এগিয়ে থাকেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে কি না তা দিয়ে তারা কি করবেন? আর বুদ্ধিমতী স্ত্রী হলে নিজের ঘরের কথা কখনোই বলবেন না তা জেনেও একই প্রশ্ন সবসময়।
৮) তুমি বুঝবে না, তোমার তো বিয়ে হয়ে গিয়েছে
এই কথা শুনলে বিবাহিতাগণ ভাবেন, ‘হ্যাঁ, আমি তো আর বিয়ের আগে জীবন পার করিনি, তাই বুঝবো না’।