একের পর এক বিপদ লেগেই আছে বাংলাদেশ দলের। বর্তমানে দলের মূল চালিকাশক্তি যে পাঁচ জন তাদেরমধ্যে মধ্যে চার জনই এখন ইনজুরিতে। দুই পাণ্ডব-সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল এরিমধ্যে ইনজুরিতে পড়ে দলের বাইরে। পাজরে ব্যথা মুশফিকের। এবার ইনজুরিতে টাইগারদের ওয়ানডে দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
তাও একটি নয়, তিনটি! এশিয়া কাপ থেকে ইনজুরিগুলো সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরেছেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে রুবেলের বলে শোয়েব মালিকের উড়ন্ত ক্যাচ নিয়েছিলেন মাশরাফি। সাথে সাথে ডান হাতের কনিষ্ঠা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। ব্যান্ডেজ করে ফের মাঠে নামেন। ম্যাচের পর আর এক্স-রে করাননি। সেই ইনজুরি নিয়েই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলেছিলেন মাশরাফি।
সময়ের সাথে সাথে সেই ব্যথা বেড়েছে। এরপর দেশে ফিরে এক্স-রে করে শোনানো হল বড় দুঃসংবাদ। ভেঙ্গে গেছে মাশরাফির ডান হাতের কনিষ্ঠা, ব্যান্ডেজ করা হয়েছে।
পাশাপাশি বল লেগে ডান পায়ের উরুর মাংসপেশি ছিঁড়ে গেছে। এটা ঠিক হতে ১০ দিন লাগতে পারে। পাশাপাশি সেই উরুতে নাকি টিউমারের শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ। ওই সিরিজে মাশরাফি খেলতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েই এখন দেখা দিয়েছে সংশয়।
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘হাত ও পায়ের যে কোনো মচকে যাওয়া ইনজুরি ঠিক হতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ লাগে। মাশরাফির হাতে যে ব্যান্ডেজটা আছে, তা দু’সপ্তাহ পর খোলা হবে। তখন সত্যিকার অবস্থা বোঝা যাবে। তবে সাধারণত এসব ইনজুরি ভালো হতে ২১ দিনের মতো সময় লাগে।’
আর উরুর ইনজুরি সম্পর্কে ডাক্তার দেবাশীষের ব্যাখ্যা, ‘সেটা গুরুতর কিছু নয়। বিশ্রাম পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে এটা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। মাশরাফি যেহেতু এখন পুরোপুরি বিশ্রামে আছেন, তাই উরুর ইনজুরি মুক্ত হতে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।’
তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদনী নান্নু আত্মবিশ্বাসী। তার ধারণা, জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকেই অধিনায়ককে পাওয়া যাবে।
তবে নান্নু যাই বলুক না কেন, শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ জিম্বাবুয়ে সিরিজের দিন-ক্ষণ হিসেব করলে মাশরাফির ইনজুরি তিন সপ্তাহ পার হতে ১৯ অক্টোবর পার হয়ে যাবে। আর জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে। এখন দুই দিনের প্রস্তুতি নিয়ে মাশরাফি প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।