এক মার্কিন নারীর ধর্ষণ অভিযোগ নিয়ে চলতি বিতর্কের মাঝে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পাশে দাঁড়িয়েছেন বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। সিআর সেভেনকে সমর্থন করে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন তার বান্ধবী।
ধর্ষণকাণ্ডে বেশ বিপাকে রোনালদো। ইনস্টাগ্রামে সমর্থকদের জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। মার্কিন মডেলের করা ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিআর সেভেন সংক্ষেপে বলেন, ‘এটা ফেক নিউজ। মানুষ বিখ্যাত হতে চান, শিরোনামে আসতে চান। আর সে জন্যেই আমার নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। লোকেরা আমার নাম নিয়ে নিজেদের প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু এসব আমাদের সামলাতেই হয়, এসব নিয়েও আমি সুখী।’
ইনস্টাগ্রামে দেয়া বার্তায় জর্জিনা লিখেছেন, ‘তুমি সবসময়ই সমস্ত বাধা অতিক্রম করেছ। চলার পথে দেখিয়েছে তুমি কতটা শক্তিশালী ও দুর্দান্ত। আই লাভ ইউ।’
রোনালদো যতই অস্বীকার করুন, মার্কিন মডেলের আদালতে পেশ করা নথিতে অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়বে পর্তুগাল অধিনায়কের। আদালতে নথি পেশ করে মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগা দাবি করেছেন, রোনালদোর বিরুদ্ধে তার কাছে পোক্ত প্রমাণ রয়েছে। ঠিক কীভাবে ধর্ষণ হয়েছে তারও বর্ণনা দিয়েছেন মার্কিন মডেল।
মডেলের দাবি, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে তাকে নিয়ে যান রোনালদো। মায়োরগা যখন পোশাক বদলাচ্ছিলেন তখন হঠাৎ পিছন থেকে তাকে জাপটে ধরেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
মায়োরগার দাবি, বারবার তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও জোর করে সঙ্গম করেন সিআর সেভেন। মার্কিন মডেল আদালতে যে নথি পেশ করেছিলেন সেই নথি অনুযায়ী, ধর্ষণের পর নাকি তার কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন রোনালদো। তিনি বলেন, আমি দুঃখিত, আমি এমনিতে অভদ্র নই, ৯৯ শতাংশ ভদ্র।
ওই নারীর দাবি, এরপর রোনালদোর চোখেমুখে অপরাধবোধ ফুটে উঠেছিল। বারবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন সিআর সেভেন। এমনকি নতজানু হয়ে এই ঘটনা প্রকাশ্যে না আনার জন্য অনুরোধও করেন জুভেন্টাস তারকা।
ক্যাথরিনের দাবি, সেসময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছিলেন রোনালদো। সেসময় ওই মডেলের সঙ্গে রোনালদো বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয়।
কিন্তু ক্যাথরিনের আইনজীবী দাবি করেছেন, যে আর্থিক চুক্তি হয়েছিল তার শর্তপূরণ করা হয়নি। তাছাড়া তার মক্কেলের সেই শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রচুর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর সে কারণেই তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
জার্মান ম্যাগাজিন ডের স্পিগেল ক্যাথরিনের বয়ানের একটি ভিডিও প্রকাশ করে এই অভিযোগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রোনালদো। এমনকি যে সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রথম প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।