‘এই দলগুলো (বাংলাদেশ) পাকিস্তানের নাম শুনলেই হেরে যেতো। এখন কি-না তাদের বোলাররা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দিকে চোখ রাঙায়। এসব দেখতেও লজ্জা লাগে।’- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর কথাগুলো বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা স্পিনার সাঈদ আজমল।
ওই ম্যাচটি ছিল এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনাল। সমীকরণ ছিল যারা জিতবে তারাই চলে যাবে ফাইনালে। অল্প রান তুলেও বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গিয়েছিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই হারটা যেন অহমে লেগেছিল আজমলের! আর যদি সব খেলার খবর রাখেন, তাহলে পাকিস্তানি স্পিনারের দুঃখ বেড়ে গেছে কয়েকগুণ! কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকবারই যে পাকিস্তানকে কাঁদাল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাশরাফি, মুশফিক, মোস্তাফিজদের বিজয়োল্লাসের পরপরই পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দলকে লজ্জায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী দল। সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশের কিশোরীরা।
বাংলাদেশের কারণে যুব এশিয়া কাপেও ব্যর্থতা মেনে নিতে হলো পাকিস্তানকে। বড়দের এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে যুব এশিয়া কাপ। একই গ্রুপে পড়েছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল মুখোমুখি লড়াইয়ে হারিয়ে দেয় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। এই হারটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের জন্য।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের সেই ক্ষত নিয়ে পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হেরেছে পাকিস্তানি যুবারা। অপর দিকে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হংকংকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। যাতে একদিকে বাংলাদেশি যুবাদের সেমিফাইনাল অপর দিকে পাকিস্তানি যুবাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের জন্য তিনবার কাঁদতে হলো পাকিস্তানকে। সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য যেন মরণ ফাঁদই হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ!