সেলফি তোলার নেশাটা কমবেশি সবারই রয়েছে। তবে তরুণ প্রজন্মের কাছে সেলফির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। একটি অসাধারণ সেলফি বন্ধুমহলে প্রশংসার দাবিদার।
সেই সঙ্গে ফেসবুকে লাইক আর শেয়ারের ছড়াছড়ি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সেলফি তুলছেন অনেকে। আর এরই মাঝে জীবন হারাচ্ছেন শত শত মানুষ।
ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট সেলফি দুর্ঘটনা নিয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত সেলফি তুলতে গিয়ে পৃথিবীজুড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫৯ জনের।
এ সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ভারতে। সেলফি দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে শীর্ষ অন্য দেশগুলো হল- রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি সেলফি তুললেও ছেলেরা ঝুঁকি নেয় বেশি। তাই সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হওয়া ৭২ শতাংশই হচ্ছেন ছেলে। যাদের বয়স ত্রিশের নিচে।
কিভাবে সেলফি দুর্ঘটনা ঘটে- এ সম্পর্কে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সেলফি তুলতে গিয়ে ‘ডুবে মারা’ যাওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। ছবি তুলতে গিয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেসে অথবা পানিতে ডুবে মানুষের মৃত্যু হয়।
সেলফি তুলতে গিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মানুষ মারা যায় গাড়ি দুর্ঘটনায়। আর তৃতীয় কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে- আগুনে পুড়ে ও উঁচু দালান থেকে পড়ে গিয়ে।
প্রবন্ধটিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে সেলফি দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় বন্দুকের গুলিতে।
গবেষণায় সেলফি দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়, জলসীমা, উঁচু দালান, ব্রিজ এসব জায়গায় ‘নো সেলফি’ জোন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
তবে ইতিমধ্যেই ভারতের বেশ কিছু পর্যটন স্থান ‘নো সেলফি জোন’হিসেবে মার্ক করা হয়েছে।