প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কিশোরীকে অপহরণের পরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কিশোরী দুর্গাপুরের নানীর বাড়ি থেকে লেখা-পড়া করত। কলেজে যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। পরে ঢাকার সাভার আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাইমুল হাসান জানায়, ঢাকার সাভার থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে রামেক হাসপাতালে রয়েছে। এই ঘটনায় লিটন নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ওই কিশোরীর দাবি তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তার মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া এই মামলায় তিনজকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুইজন পলাতক রয়েছে।
মেয়ের চাচা আশরাফুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের গত ২৪ আগস্ট (ঈদুল আজহা এর তিনদিন পরে) কলেজ যাওয়ার পথে এক কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। ৩৫ দিন সে নিখোঁজ ছিল। তার পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি বলেন, তার ভাতিজিকে রাজধানী ঢাকার সাভারের যে রুমে রাখা হয়েছিল সেটি অন্ধকার। সেখানে কোন লাইটের ব্যবস্থা ছিল না। এই রুমে আরও তিনজন কিশোরীকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে তাকে কয়েকজন মিলে গণধর্ষণ করে।