আজ ৫ অক্টোবর। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক জীবন্ত কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মর্তুজার ৩৫তম জন্মদিন। ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা-মা তাকে আদর করে ডাকেন, ‘কৌশিক’।
তিনি সবার কাছে কখনও নেতা কখনও বন্ধু কিংবা কখনও সুপারম্যান। আর তাকে তার ভক্তরা ‘বস’ বলে ডাকে।
ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও এখন বোলার হিসেবেই তিনি বেশি খ্যাত অর্জন করেছেন, যে জন্যে তাকে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামে অভিহিত করা হয়।
২০০১ সালের ৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। অভিষেকে ম্যাচেই তিনি তার জাত চিনিয়ে দেন। ১০৬ রানে তুলে নিয়েছেন ৪টি উইকেট।
২০০১ সালে ২৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ওয়ানডে দলে অভিষেক হয়। তিনি ক্যারিয়ারে ৩৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৭৯৭ রান করেছেন। বল হাতে নিয়েছেন ৭৮টি উইকেট। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫৪টি ম্যাচ খেলে ৩৭৭ রান করেছেন ও বল হাতে ৪২টি উইকেট নিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টিতে ২৮টি ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে ১০টিতে জয় পেয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে তিনি একটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল।
ওয়ানেডেতে এখন পর্যন্ত ১৯৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মাশরাফি ব্যাট হাতে করেছেন ১৭২০ রান। বল হাতে ২৫১টি উইকেট। দেশের ইতিহাসের সেরা ক্যাপ্টেন তিনি। ৬৪টি ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব নিয়ে এনে দিয়েছেন ৩৫টি জয়। তার হাত ধরেই পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ কিংবা ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো মহা পরাক্রমশালী দলকে নামিয়ে আনা হয়েছে মাটিতে। তিনবার যে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে করতে হয়েছে ৭ বার অপারেশন।
এদিকে সবার কাছে দোয়া চেয়ে মাশরাফি বলেন, জন্মদিনে তেমন বিশেষ কোন উইশ নেই। সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুক-এ দোয়া করি। আপনারাও আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।
তবে আজ শুধু মাশরাফিই জন্ম দিন নয়, আজ তার ছেলে সাহেলেরও জন্ম দিন। ২০১৪ সালের এইদিনে মাশরাফির স্ত্রী সুমনা হক সুমির কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে ছেলে সাহেল। বাবা ও ছেলের একই দিনে জন্মদিন হওয়ায় ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।