আসন্ন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে খেলতে পারবেন না টেস্ট দলপতি সাকিব আল হাসান। ইনজুরির কারণে দলের বাইরে রয়েছেন তিনি। চলতি বছর ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ার কারণে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছিলেন না সাকিব। যে কারণে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রিয়াদ। আর এবারও তাই অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্তিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব কাঁধে পড়তে পারে সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কাঁধে।
সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দু্টি। একটিতে ড্র ও একটিতে হার। অন্যদিকে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হাতের ইনজুরিতে পড়েন তামিম। ইনজুরির কারণে টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে নাও খেলতে পারেন তামিম। তামিম না থাকায় ওপেনিং পজিশনের দায়িত্ব সামাল দিতে হতে পারে সৌম্য সরকার এবং ইমরুল কায়েসকে।
এদিকে সাকিবের ইনজুরির বিষয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ‘পর পর দুবার তিন চারদিনের ব্যাবধানে কিছু পূজ বের করা হয়েছে। ওর অবস্থা উন্নতির দিকে। ব্যথা আগের থেকে অনেকটাই কমে এসেছে। সাকিবের ব্যাপারে আমাদের যেটা প্লান ছিল যে সুবিধাজনক সময়ে হাতের সার্জারি করা উচিত। সার্জারির আগে যদি সম্ভব হয় এশিয়া কাপ, জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলবে। সেইমত এশিয়া কাপে অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ইনজুরিটা বেড়ে যায়। আপাতত এন্টিবায়োটিক চিকিৎসার মধ্যেই আছে। আমরা আশা করছি এই ধরনের চিকিৎসা আরও সপ্তাহ খানেক চলার পর ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
দেবাশিষ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা চাইছি অস্ট্রেলিয়ায় যে হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধায়নের ওর অপারেশন প্লান করা আছে উনার কাছে একবার পাঠানোর। দুটো কারণে, এখানকার যে হাতের অবস্থাটা আসলে কি, সার্জারির দরকার আছে কিনা আগামীতে। যদি হয়ে থাকে প্লানটা কি হবে। এসব মিলিয়ে আমরা পাঠাচ্ছি। উনার এপয়নমেন্ট পাওয়া সাপেক্ষে শুক্রবার সাকিব হয়ত অস্ট্রেলিয়া যাবে। আমরা মনে করছি এক মাসের মতো সময় লাগবে এখানকার যে চোটটা আছে সেটা ম্যানেজ করতে। মেলবোর্নে ড. গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধায়নের আছে ও।’