এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমরুল কায়েসকে নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে আনন্দ-উৎসব চলছে তার দাদা ও নানার বাড়িতে। ইমরুল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে। এ জন্য তাকে নিয়ে দুটি পরিবার মেতে উঠেছে উৎসবে। খুশিতে তার পান দোকানি নানা একবারে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে মালা গেঁথে নাতির গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছেন। তারপর তাকে অনেকটা রাস্তা হাঁটিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা।
ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনাটি কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের। ইমরুলের দাদা ও নানার পরিবার এলাকায় নির্ভেজাল ‘আওয়ামী লীগ পরিবার’ হিসেবে পরিচিত। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, সীমান্তে ইয়াবাসংশ্লিষ্ট পরিবারের সদস্যরা নানা কৌশলে ক্ষমতাসীন দলে ভিড়তে থাকায় কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারছে না প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা।
টেকনাফ বাসস্টেশনের পান দোকানি জাফর আলমের ছয় মেয়ে ও তিন ছেলের পরিবারে নাতি ইমরুল কায়েস তার প্রজন্মের সবার বড়। জাফর আলম বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যরা নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। কিন্তু টেকনাফ সীমান্তে এখন হাইব্রিড আওয়ামী লীগের ছড়াছড়ি। দলীয় নেতৃত্বের পদবিও প্রায় এসব হাইব্রিডের দখলে।’ তিনি আফসোস করে বলেন, এসব হাইব্রিডের ভিড়ে দলে তাঁদের স্থান নেই। অথচ এ হাইব্রিডরা দলের দুর্দিনে আবারও ফিরে যাবে তাদের পুরনো স্থানে।
নাতি ছাত্রলীগের নেতা হওয়ায় জাফর তাঁর নতুন পল্লানপাড়া এলাকার নারীদের রাস্তায় বের করে লাইন করে দাঁড় করান। তারপর নাতি ইমরুলের গলায় পাঁচ হাজার টাকার নোটের মালা পরিয়ে দিয়ে সেই রাস্তায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জাফর আলম জানান, ওই সময় নারীরা নেচে-গেয়ে তাঁর নাতিকে শুভেচ্ছা জানায়। এমনকি শত শত পটকাও ফুটানো হয়। প্রতিদিনি ভালো খাবার-দাবারও চলছে। উৎসব আরো কিছুদিন চলবে।-কালেরকন্ঠ।