চোট পেয়ে ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার শেষ হয়, ম্যাচ তো বটেই। তবে সব সময় চোট মেনে নেন না ক্রিকেটাররা। দলের প্রয়োজনে চোট নিয়েই আবার মাঠে নামেন। ক্রিকেটের কাছে তখন থমকে যায় জীবন। তেমনই কয়েকজনের নাম আজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১. বার্ট সাটক্লিফ (নিউজিল্যান্ড) : ১৯৫৩-১৯৫৪ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে ঘটে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যানের ঘটনাটি। বাউন্সারে আঘাত পেয়েছিলেন মাথায়। বলের আঘাতে কানের লতি ছিঁড়ে গিয়েছিল তার। ম্যাচ চলার সময়ই খবর আসে, তরুণ ক্রিকেটার বব ব্লেয়ারের স্ত্রী মারা গেছেন রেল দূর্ঘটনায়। দলের বাজে অবস্থায় সাটক্লিফকে আবারো ব্যাট হাতে ক্রিজে নামতে হয় ব্লেয়ারের সঙ্গে। দু’জন মিলে ১ ওভারে তুলেছিলেন ২৫ রান। সাটক্লিফের সেই চোট তাকে আজীবন ভুগিয়েছে আর ব্লেয়ারের চোটটা তো ছিল অদৃশ্য।
২. কলিন কাউন্ড্রি (ইংল্যান্ড-১৯৬৩) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলার সময় ওয়েস হলের বল হাতে লেগেছিল। ঐ আঘাতের শব্দই বলছিল, ভেঙেছে তার হাত। নাটকীয় ঐ টেস্টেও শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। তিন বলে যখন ৬ রান দরকার তখন নেই ৯ উইকেট। এমতাবস্থায় হাতে প্ল্যাস্টার নিয়ে ক্রিজে নামেন কাউন্ড্রি। শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছিল ঐ টেস্ট।
৩. রিক ম্যাককোস্কার (অস্ট্রেলিয়া-১৯৭৬) : ইংল্যান্ডের বব উইলিসের বাউন্সারে চোয়াল ভেঙ্গে যায় রিকের। ঐ বলটা স্ট্যাম্পে লাগায় আউট হয়েছিলেন রিক। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ঠিকই মুখে ব্যান্ডেজ নিয়ে নামতে হয় ম্যাককোস্কারকে। তার বীরত্বেই ৪৬২ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। ঐ ম্যাচ জিতেছিল রিকরা।
৪. ম্যাকলম মার্শাল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ-১৯৮৪) : ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের প্রথম ইনিংসের প্রথম দিনেই বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ভেঙে যায়। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রানে যখন ল্যারি গোমেজ অপরাজিত তখন ৯ উইকেট শেষ। সবাই যখন ভেবেছিল ইনিংস শেষ তখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে মার্শাল এলেন এক হাতে খেলতে। খেললেন ৮টি বল। পরে ভাঙ্গা হাতে বোলিং করে ৭ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে একাই হারিয়ে দেন।
৫. অনীল কুম্বলে (ভারত-২০০২) : সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে তখন ভারত বেশ জোয়ারে ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট ম্যাচে মারভন ডিলনের বাউন্সাওে তার চোয়াল ভেঙে যায়। রক্ত পড়ছিল তবুও ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন তিনি। পওে বুজেছিলেন কি হয়েছিল তার। পরেরদিন ফ্লাইট না থাকায় দেশে ফেরা যেহেতু হয়নি সেহেতু বল হাতে নেমে পড়লেন মাঠে। ১৪ ওভার বোলিং করে নেন ব্রায়ান লারার উইকেট।
৬. গ্রায়েম স্মিথ (দক্ষিণ আফ্রিকা) : ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ। মিচেল জনসনের তীব্র গতির বলে ভাঙলো স্মিথের বাঁ হাত। সিরিজ আগেই জিতেছিল প্রোটিয়রা। ঐ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হতে মাত্র ৮ ওভার বাকি এমন সময় নবম উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। তখন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে নামেন স্মিথ। অনেক চেষ্ট করেও পারেননি দলের হার এড়াতে।
৭. ইয়ান বেল (ইংল্যান্ড-২০১০) : ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়ান বেলের মনে কি হয়েছিল জানা যায়নি। আনমনে ফিল্ডিং করতে যেয়ে পায়ের পাতা ভেঙেছিল বেলের। ব্যাটিংয়ের শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১০ রান। প্লাস্টার করা পা নিয়েই নেমে যান তিনি। তবে ইংল্যান্ডের হার এড়াতে পারেননি। একটা বলও খেলার সুযোগ পাননি।
৮. তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ-২০১৮) : এমনিতেই হাতে চোট ছিল। তার ওপর সুরাঙ্গা লাকমলের বাউন্সার ঠেকাতে গিয়ে আঘাত পান কবজিতে। মাঠ থেকে সরাসরি হাসপাতালে যাওয়ার পর এক্স-রে রিপোর্টে চিড় ধরা পড়ে এবং এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যায় তামিমের। ২২৯ রানে বাংলাদেশের নবম উইকেটে মুস্তাফিজ আউট হলেন। কিন্তু স্কোর তো আরো বড় করা চায়! এমতাবস্থায় মাঠে দেখা মিলল তামিমের। গ্লাভস কেটে আঙুল বের করে খেললেন একটি বল। মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে গেলেন বীর তামিম। ১৬ বলে মুশফিক তুললেন ৩২ রান। দলের রান হয় ২৬১। এই ইনিংসের পর প্রশংসায় ভাসেন দেশ সেরা এ ওপেনার।সুত্র: প্যাভিলিয়ন
গাজীপুরে হোটেলে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ৩৩ নারী-পুরুষ আটক ভিডিওটি দেখুন….
মেঘনায় লঞ্চ-কার্গো সংঘর্ষে বেঁচে গেল দুই শতাধিক যাত্রী / মুহূর্তেই ডুবে গেল: ভিডিওটি দেখুন….